বিএনপি প্রার্থী শূন্য দশ ইউনিয়ন

দলের নেতাকর্মীরা এলাকায় যেতে না পারার কারণে ১০টি ইউনিয়ন পরিষদে প্রার্থী দিতে পারেনি বিএনপি। মামলা হামলা ও প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালীদের নির্যাতনের কারণে এই ১০ ইউনিয়নে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী নেই। তারা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ফেরার জীবন যাপন করছে। তাই নেতাকর্মীদের নিরপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে এসব ইউনিয়নে প্রার্থী দেয়নি বিএনপি।

দলের সহ প্রচার সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স জানান, ৭৩৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৯টিতে প্রার্থী দেয়া হয়নি। এরমধ্যে ১০টি ইউনিয়নে হামলা-মামলা ও নির্যাতনের কারণে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী পাওয়া যায়নি। এজন্য ওই ইউনিয়নে প্রার্থী দেয়া সম্ভব হয়নি। ইউনিয়নগুলো হচ্ছে_ পাইকগাছা, দাকোপ, হাতিয়ায় ২টা, মংলা, চিতলমারি, কচুয়ায় ১টা, মোল্লার হাট, বাগেরহাট সদর ও সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ। তিনি বলেন, গত আড়াই বছর যাবৎ এসব এলাকার বিএনপি নেতাকর্মীরা ঘর ছাড়া। তারা রাজনীতি তো দূরের কথা বাসায়ও থাকতে পারে না। ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ, কৃষিকাজ করতে পারে না। পরিবার-পরিজনের খবর নিতে পর্যন্ত এলাকায় যেতে পারে না অনেকে। দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। এরপরেও ওইসব ইউনিয়নের প্রার্থী হতে আগ্রহীরা বিএপির গুলশান কার্যালয়ে এসেছিলেন। কি করা যায় জানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে ওইসব স্থানে প্রার্থী দেয়া হয়নি। বাকি ৯টি ইউনিয়নে প্রার্থী দিতে না পারার কারণ জানতে চাইলে প্রিন্স বলেন, জামায়াতসহ শরিকদের জন্য এসব ইউনিয়ন ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

তবে দলের এক সিনিয়র নেতা জানান, বিএনপির মতো বড় দলে নেতাকর্মীর পাশাপাশি অসংখ্য সমর্থক আছে। সমর্থকদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা নির্বাচনে আগ্রহী ও সুযোগ্য এবং প্রভাবশালী তাদেরকে কৌশলে বিএনপির সমর্থন দেয়া হবে। যাতে তারা নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারে।

জানা গেছে, এলডিপি, লেবার পার্টি, ডেমোক্রেটিক লীগ, পিপলস লীগসহ শরিকদের মধ্যে ২০টি ইউপি চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে এলডিপি ছাড়া অন্যরা ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবে। তবে জামায়াতের সঙ্গে এখনো কোনো সমঝোতা হয়নি।

দলের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা জানান, জামায়াতের সঙ্গেও এ নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা চলছে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার পর্যন্ত সমঝোতার যে সুযোগ আছে তা কাজে লাগানো হবে। প্রথম ধাপে জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা না হলেও পরবর্তী ধাপগুলোতে তা করা হবে। জামায়াতকে তাদের প্রার্থী তালিকা দিতে বললেও দেয়নি।

দলের অপর এক নেতা জানান, পৌরসভা নির্বাচনের মতো এবারেও জামায়াতের সঙ্গে কোনো সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

প্রসঙ্গত, আগামী ২২ মার্চ ভোট সামনে রেখে গত কয়েকদিনে দলের যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহানের নেতৃত্বে একটি টিম ৭১৯টি ইউনিয়নের প্রার্থী তালিকা তৈরি করে। প্রথম ধাপে ৭৩৯টি ইউনিয়নের মধ্যে খুলনা বিভাগে ২৫২, ঢাকা বিভাগে ৮৯, রাজশাহী বিভাগে ৩১, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭১, সিলেট বিভাগে ৮, রংপুর বিভাগে ১৫ এবং বরিশাল বিভাগের ২৭৩টিতে নির্বাচন হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই