বিএনপি থেকেও অনেক নেতা বেরিয়ে যাওয়ার অপেক্ষায়

২০ দলীয় জোট থেকেই শুধু নয়, বিএনপি থেকেও অনেক নেতাকর্মী বেরিয়ে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছেন। তাদের আর দলের বর্তমান নেতৃত্বের ওপর আস্থা নেই। এমনটাই মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

আবদুল লতিফ নেজামীর নেতৃত্বাধীন ইসলামী ঐক্যজোটের ২০ দলীয় জোট ছাড়ার ঘোষণার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে যৌথসভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন মাহবুব উল আলম।

তিনি বলেন, ‘আজ আর শুধু জোট নয়, অনেক নেতাই বিএনপির সন্ত্রাসী ও অনৈতিক কাজের জন্য দল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন। ইতিমধ্যে একজন বেরিয়েও গেছেন, অনেকে অপেক্ষায় আছেন।’

‘ইসলামী ঐক্যজোট কী কারণে জোট ছেড়েছে আমরা এই মুহূর্তে সঠিকভাবে তা বলতে পারবো না।’ এমনটা জানিয়ে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘সম্প্রতিককালে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়েছেন। তারা নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। যেটা আমাদের পবিত্র ধর্ম কখনোই সমর্থন করে না। আর সেই কারণে যদি কোনো দল জোট থেকে বেরিয়ে যায়, তাহলে সেটা স্বাভাবিক।’ আগামী স্বাধীনতা মাসেই জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে এমন আশাও প্রকাশ করেন তিনি।

বিএনপির সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও সংলাপে বিশ্বাস করে। কিন্তু এ মুহূর্তে কি দেশে কোনো সঙ্কট আছে? দেশে কোনো সঙ্কট নেই, যা নিয়ে সংলাপ হতে পারে। আমরা আগেই বলেছি সঙ্কট আছে খালেদা জিয়ার মনে।’ তার জন্য তিনি চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শও দেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।

শহীদদের সংখ্যা নিয়ে কটাক্ষ করার জন্য খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, এমনটা উল্লেখ করে হানিফ বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সবচেয়ে গৌরব উজ্জল ভূমিকা ছিল ছাত্রলীগের। আজকে সেই স্বাধীন বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক দলের নেত্রী যখন মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সংখ্যা নিয়ে কটাক্ষ করেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উপর আঘাত করে। এ বিষয়টি ছাত্রলীগ তখন মেনে নিতে পারেনি। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে যে, এ জন্য খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে ক্ষমা চাইতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবাহান গোলাপ, দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজিত রায় নন্দী, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদার, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, সাবেক সভাপতি এইচএম বদিউজ্জান সোহাগ, ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয়, ঢাকা মহানগর ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও এর বিভিন্ন ইউনিটের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে এ যৌথসভার আয়োজন করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই