‘বিএনপি গণতন্ত্র অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছে’

বিএনপি গণতন্ত্র অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার মওদুদ আহমদ।

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে, যতদিন না অবাধ ও সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে পারব।’

রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৪তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা শুরুর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মওদুদ আহমদ এ সব কথা বলেন। বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে এ যৌথ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

মওদুদ আহমদ বলেন, ‘শহীদ জিয়াউর রহমান আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রে তার মৃত্যু হয়। জিয়া নিজে থেকে ক্ষমতায় আসেননি। তিনি ক্ষমতা দখলও করেননি। ৭ নভেম্বর দেশে কোনো সামরিক ক্যু হয়নি। জনগণ জিয়াউর রহমানকে ক্ষমতায় নিয়ে আসে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা ও পরবর্তীতে দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার কারণে মানুষ জিয়াকে যুগ যুগ ধরে স্মরণ করবে।’

এ দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের জানান, বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ১৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

রাজধানীসহ সারাদেশে ২৭ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালিত হবে।

বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ২৮ মে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভা। আলোচনায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীরা অংশ নেবেন।

২৯ মে দলের অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে আলোচনা সভা।

৩০ মে সকাল ১০টায় শেরেবাংলা নগরে শহীদ জিয়ার মাজারে খালেদা জিয়াসহ দলের সিনিয়ির নেতাদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন। এরপর সেখানে ওলামা দলের উদ্যোগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল হবে। এরপর খালেদা জিয়া দুঃস্থদের মাঝে উন্নতমানের খাবার বিতরণ করবেন। ওইদিন দেশের সব স্থানে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধ নমিত রাখা হবে। নেতাকর্মীরা তাদের বুকে কালো ব্যাজ ধারণ করবেন।

৩১ মে ও ১ জুন খালেদা জিয়া ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করবেন।

এছাড়া, পরবর্তী দিনগুলোতে বিএনপির অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনগুলো আলোচনা সভা ও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।



মন্তব্য চালু নেই