বিএনপি এবারও নিশ্চুপ!
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর চূড়ান্ত রায়েও ফাঁসি বহাল রেখেছে সর্বোচ্চ আদালত। তবে বরাবরের মতই রায় নিয়ে এবারও কোনো মন্তব্য করছে না বিএনপি। দলটির নীতি নির্ধারনী পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও- এ ব্যাপারে কেউই মুখ খোলেননি। গণমাধ্যম এড়ানোর জন্য অনেকে ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ রেখেছেন।
সর্বোচ্চ আদালতের চূড়ান্ত রায়েও যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া সাজা বহাল রাখা হয়েছে। অর্থাৎ ফাঁসিতে ঝুলিয়ে সাকা চৌধুরীর মৃত্যুদন্ড কার্য্কর করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।
এ বেঞ্চের অন্য তিন সদস্য হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
চট্টগ্রামের রাউজানে কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের মালিক নূতন চন্দ্র সিংহকে হত্যা, সুলতানপুর ও ঊনসত্তরপাড়ায় হিন্দু বসতিতে গণহত্যা এবং হাটহাজারীর এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তার ছেলেকে অপহরণ করে খুন করার চার অভিযোগে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
রায় সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে, ‘এ সম্পর্কে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে চান না’- বলে জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান।
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য হান্নান শাহও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি। অনেকটা ধীরে চলো নীতি অনুসরণ করে তিনি বলেন, ‘চট করে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। আগে ভালো করে জানি তারপর বলবো।’
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘এ সম্পর্কে দলের দায়িত্বপ্রাপ্তরা বলবেন। আমার বলার কিছু নেই।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আহমেদ আযম খানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সাকা চৌধুরীর রায়ের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে দলের মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘এ সম্পর্কে কোনো প্রতিক্রিয়া জানালে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে।’
প্রসঙ্গত, এর আাগে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নিজ দলের নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুল আলীমসহ শরিক দল জামাতের কয়েকজন শীর্ষ নেতার মৃত্যুদণ্ডাদেশ হলেও তা নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি বিএনপি। রাইজিংবিডি
মন্তব্য চালু নেই