বিএনপি আন্দোলন-নির্বাচন দুটোতেই ব্যর্থ হয়েছে : নাসিম
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বিএনপি আন্দোলন-নির্বাচন দুটোতেই ব্যর্থ হয়েছে। বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নাসিম বলেন, নির্বাচনে মাঠে নেমে মাঝপথে তারা পালিয়ে গেছে। অবশ্য পালিয়ে যাওয়া বিএনপির স্বভাব। তবে সদ্য সমাপ্ত তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন বর্জন করে তারা যে আরেকটি ভুল করেছে সেটা অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছে। এ কারণে বিএনপি নেতারা এখন আফসোস করছেন।
তিনি বলেন, সিটি নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা যে পরিমাণ ভোট পেয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে নির্বাচন বর্জন করে খালেদা আমাদের বাঁচিয়ে দিয়েছেন। কারণ দুপুর ১২টা পর্যন্ত তারা যে পরিমাণ ভোট পেয়েছে, পুরোপুরি নির্বাচন করলে না জানি কি অবস্থা হতো?
‘নির্বাচনের দিন পাহাড়ায় থাকবো, ভোটে কারচুপি হলে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে’ মর্মে নির্বাচনের আগে এমাজউদ্দিন আহমেদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ভোটের দিন তাদেরকে বাটি চালান দিয়েও খুঁজে পাওয়া যায়নি। আসলে নির্বাচন ভুন্ডল করার জন্যই মাঠে এসেছিলেন তারা।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া আদালতে আত্মসমর্পণ করে ঘরে ফিরে গেছেন আবার বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচনে এসেছেন। শুধু তাই নয়, দুই বারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দোকানে দোকানে গিয়ে লিফলেট পর্যন্ত বিতরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো রাজনীতি শিখতে হলে খালেদা জিয়ার আরও ৫০ বছর সময় লাগবে। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা নীরব বিপ্লব ঘটাতে চেয়েছিলো। কিন্তু খালেদা জিয়া ভোট বর্জন করে বিপ্লব বন্ধ করে দেন। ভোট বর্জন করলেও কখন বর্জন করতে হবে সেটাও বিএনপি জানে না।
রোগীদের সেবার মান বৃদ্ধি করতে ডাক্তারদের আরও বেশি মনোনিবেশ করার আহবান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা আরও বেশি বেশি হাসপাতালে রাউন্ড দিবেন। বিশেষ করে সন্ধ্যাকালীন রাউন্ড অব্যাহত রাখতে হবে। যাতে করে কোন রোগী সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়।
তিনি বলেন, চাহিদা মতো কিছু বিভাগে ডাক্তার পাওয়া গেলেও এখনও অর্থোপেডিক, এনেস্থিসিয়াসহ বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের অভাব রয়েছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় একটি সত্যিকারের চিকিত্সাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠবে, যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অন্যতম হিসেবে পরিচিত হবে। তাহলেই এই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস স্বার্থক হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভুঁইয়া ডাবলু, বিএমএ’র সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-ব্লকের নিচতলায় বঙ্গবন্ধুর মুর্যালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় এবং বটতলা থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় পত্তাকা উত্তোলন, পায়রা ও বেলুন উড়ানো, স্মরণিকা প্রকাশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের মাসিক মুখপাত্র প্রকাশসহ সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র ছাপানো হয়।
মন্তব্য চালু নেই