বিএনপির সুরের পেছনে কোন বেসুর

আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরকার হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে এ নির্বাচনের আয়োজন করবে বলে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে বিএনপি ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ এর যে দাবি তুলেছে তার সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে ফখরুল ইমামের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

আসন্ন সিটি নির্বাচনে বিএনপি ‘লেভেল প্লেং ফিল্ড’র যে দাবি তুলেছে তার পেছনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘তাদের এই সুরের পেছনে কোন বেসুর বাজে তা বোধগম্য নয়।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেক পরে হলেও তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে। তারা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে। তারা বলেছিল, এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে অংশ নিবেন না। এর আগে ২০১৩ সালে নির্বাচন ঠেকানোর নামে ১৫০ জন মানুষকে হত্যা করেছেন। হাজার হাজার মানুষকে পঙ্গু করেছেন। তারা যে কী চাচ্ছেন তা বোধগম্য নয়।’

একই প্রশ্ন কর্তার লিখিত এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, ‘আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পোলিং অফিসার নিয়োগে আলাদা প্যানেল তৈরি করা হচ্ছে। দল নিরপেক্ষ, দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদেরকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়ার জন্য প্যানেল তৈরি করা হচ্ছে।’

আগামী ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য দিনক্ষণ নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিধিমালা চ্যালেঞ্জ করে বুধবার একটি রিট আবেদন করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা জানান, সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে এই তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র নির্বাচন করা হচ্ছে। ভোটার ও প্রার্থীগণ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন তার জন্য সার্বিক পরিস্থিতির উন্নয়নে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি দক্ষ জনবল নিয়োজিত করা হবে।

খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আন্দোলন যৌক্তিক পর্যায়ে না যাওয়া পর্যন্ত অব্যহত থাকবে। তার এই বক্তব্যের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘তার এসব কর্মসূচি বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে। আর এটাই হবে তার তথাকথিত আন্দোলনের যৌক্তিক পরিণতি।’

প্রধানমন্ত্রী জানান, বিএনপি জোটের আন্দোলনে আহত ও নিহতদের পারিবারকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে এ পর্যন্ত ১২৭ জনকে ১১ কোটি ৭০ লাখ টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে। আরো ৩০ জনের পরিবারের অনুকূলে এক কোটি ১৭ লাখ টাকা অনুদান চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া যানবাহন ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে ৪২৬টি যানবাহনের মালিককে ৫ কোটি ৭৭ লাখ ৭৩ হাজার আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে। আরো ৩৯৫ টি ক্ষতিগ্রস্থ যানবাহন মালিকদের মধ্যে ক্ষতিপূরণ প্রদান চূড়ান্ত হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই