বিএনপির সঙ্গেই আলোচনা করতে হবে : খালেদা

দেশের ‘বৃহৎ ও জনপ্রিয়’ দল হিসেবে বিএনপির সঙ্গেই আলোচনা করতে হবে বলে সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

তিনি বলেছেন, ‘সরকার ঝামেলা তৈরি করে নির্বাচন দিতে চায় না। যদু, মধু, চোর-বাটপার দিয়ে হবে না। বিএনপির সঙ্গেই আলোচনা করতে হবে।’

শনিবার বিকেলে জামালপুর জেলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ২০ দলীয় জোটের উদ্যোগে আয়োজিত ‘গুম খুন, সংবাদপত্র, বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় নগ্ন হস্তক্ষেপের প্রতিবাদ এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের’ দাবিতে এক জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির সঙ্গে সংলাপ এবং মধ্যবর্তী নির্বাচনের সম্ভবনা নাকচ করে বক্তব্য দেওয়ার একদিন পরে খালেদা জিয়া এমন মন্তব্য করলেন।

শুক্রবার নিউইয়র্কে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘নির্বাচনে না গিয়ে বিএনপি রাজনৈতিক ভুল করেছে। ভুলের মাশুল তাদেরকেই দিতে হবে। দেশের মানুষের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, দারিদ্র্য দূর হচ্ছে, প্রবৃদ্ধি ছয় ভাগ অর্জিত হয়েছে। এমন অবস্থায় মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা বা ভাবনার কোনো কারণ নেই। দেশে মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোনো সম্ভাবনা নেই।’

গোয়েন্দা সংস্থাকে হুমকি দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘এজেন্সিকে বলবো বিএনপিও ক্ষমতায় ছিলো। এসব অবৈধ কাজ বন্ধ করুন। তা না হলে ভবিষ্যতে আইনের আওতায় এনে জবাব দিহিতা করা হবে।’

৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার ‘ভোট জালিয়াতি’ করেছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি প্রধান।

তিনি বলেন, ‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হয়েও তারা একের পর এক আইন করছে। চুরি করেছে। যখন এসব কাজের হিসেব দিতে হবে, তখন বিরাট কাফফারা দিতে হবে।’

জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ এস এম হালিম, এম এ কাইয়ুম, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, সংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ছাত্রদল সভাপতি আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।

এ ছাড়া ২০ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখবেন কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ, মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক, শফিউল আলম প্রধান এবং আন্দালিব রহমান পার্থ।

জনসভায় স্থানীয় নেতাদের মধ্যে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ ওয়ারেস আলী মামুন, বিএনপি নেতা এম শহিদুজ্জামান মিলাত, সাবেক সংসদ সদস্য নিলুফার চৌধূরী মনি, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ভোলা মিল্লাত, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি তাপস পাঠান প্রমুখ উপস্থিত আছেন।



মন্তব্য চালু নেই