বিএনপির নীরবতার দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে : আ.লীগ

মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির রায়ে কোনো প্রতিক্রিয়া না জানিয়ে এবং তাদের ডাকা হরতালে নীরব সমর্থন দিয়ে বিএনপি যে ষড়যন্ত্র করছে তার দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

বৃস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে  হরতাল বিরোধী সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তারা।

বক্তারা দাবি করে বলেন, দেশবাসী ঘাতকদের এই হরতাল ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। ঘাতকদের বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ে তুলে এই ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপির কর্মসূচি জামায়াতের কর্মসূচির উপর নির্ভর করে দেওয়া হয়। তার প্রমাণ বিএনপির ঘোষিত ৩০ তারিখের সমাবেশ ১ তারিখে এবং ৭ তারিখের সমাবেশ ৮ তারিখে পরিবর্তন করা। খালেদা-নিজামী, বিএনপি-জামায়াত এক ও অভিন্ন। জামায়াত ষড়যন্ত্র করে আর এসব ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করে বিএনপি। তাই এদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘নিজামীর রায়ে খালেদা জিয়া ও ফখরুলরা মুখে কুলুপ এঁটে দিয়েছেন। তাদের এই নীরবতাই প্রমাণ করে তাদের সঙ্গে আঁতাত করেই জামায়াত হরতাল দিয়েছে।’ তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে রাজপথে থেকে এদের প্রতিরোধ করার আহ্বান জানান।

মায়া বলেন, ‘নিজামী-মুজাহিদকে মন্ত্রী বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের গালে চপেটাঘাত করার দায়ে খালেদা জিয়ারও বিচার করা হবে। চুরি যে করে আর চুরির মাল যে রাখে, দুজনকেই চোর হিসেবে শাস্তি ভোগ করতে হয়।’

মায়া বিএনপি নেত্রীর প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘নিজামীর রায় হওয়ায় বাথরুমে গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে শাড়ির আঁচল ভিজিয়েছেন খালেদা জিয়া। এত দরদ কেন? আবার জামায়াতের হরতালে নীরব সমর্থনও দিয়েছেন।’

মায়া আরো বলেন, ‘দেশের কোথাও হরতাল পালিত হচ্ছে না। বাংলাদেশের কোথাও আর কোনোদিন হরতাল পালন হবে না। রাজাকারদের ডাকা হরতাল দেশের মানুষ প্রত্যাখান করেছে।’

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘ঢাকাসহ বাংলাদেশের কোথাও হরতাল পালিত হচ্ছে না। জামায়াত-বিএনপি যেন নাশকতা করতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আলবদর বাহিনীর প্রধানকে যারা মন্ত্রী বানিয়েছে, জনতার আদালতে তাদের বিচার একদিন হবেই।’

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, তথ্য গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুকুল চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।



মন্তব্য চালু নেই