‘বিএনপির এক নেতা আরেক নেতাকে বিশ্বাস করে না’

সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সাথে সম্পর্ক ছিন্ন না করলে বিএনপি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিষাক্ত আলিঙ্গন বিএনপিকে ভোগাবে। তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন না করলে বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে।’

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর রমনাস্থ ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এখনও দেশের সবচেয়ে বড় শত্রু এবং হুমকি। এ অপশক্তি গোপনে ভয়াবহ হামলার প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। এ অপশক্তি দুর্বল হয়ে গেছে ভাবলে সবচেয়ে বড় ভুল করা হবে। তার জন্য সরকার ও দলকে চড়া মাশুল দিতে হবে। সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে যেমন মোকাবেলা করতে হবে তেমনি জাতীয় নির্বাচনেরও প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।

আগামী জাতীয় নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি তার নিজের প্রয়োজনেই নির্বাচনে আসবে। সামনের নির্বাচনে অংশ না নিলে তারা কতবড় ভুল করবে তা তারা জানে। বিএনপির ভয়ই ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ বিএনপির এক নেতা আরেক নেতাকে বিশ্বাস করে না। এ দলের এক নেতা অপর নেতাকে সরকার বা আওয়ামী লীগের এজেন্ট বলে অভিহিত করে থাকে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না বলেই বার বার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে থাকে। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার তো কখনও প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয়নি । কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বার বার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম রহমত উল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ও তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ স্বাধিকারের আন্দোলনকে স্বাধীনতার সংগ্রামে পরিণত করেছিল। বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ ছিল উপস্থিত বক্তৃতা, এটা লিখিত ছিল না। এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, এ ভাষণ দেশের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিল। এ ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হয়েছিলেন বাঙ্গালী জাতির বিশ্বস্ত আস্থার ঠিকানা।



মন্তব্য চালু নেই