বাড়ন্ত শিশুর খাদ্য তালিকায় এই খাবারগুলো রাখছেন তো?
শিশুরা বেড়ে উঠার সাথে সাথে পরিবর্তন আনতে হয় খাবারের। দুই বছর বয়সটি শিশুদের বেড়ে উঠার পারফেক্ট সময়। এইসময় শিশুকে দিতে হয় কিছু পুষ্টিকর খাবার। কিন্তু বাবা মা সবসময় বোঝেন না কোন ধরণের খাবার শিশুকে দিতে হবে কোনটা দিতে হবে না। এই সমস্যার কিছুটা হলেও সমাধান করে দিবে আজকের এই ফিচারটি।
১। ক্যালসিয়াম
ক্যালসিয়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান দাঁত এবং হাড় গঠনের জন্য। শিশুর বাড়ন্ত বয়সে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত। দুধ, টক দই, পালং শাক, বিভিন্ন ফলমূল, বিভিন্ন ধরণের শাক থেকে প্রচুর ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।
২। আয়রন
রক্ত গঠনের জন্য আয়রন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। রক্তে অক্সিজেন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান পরিবহন করার আয়রনের প্রধান কাজ। মাংস, কলিজা, মাছ, বিনস, বাদাম ইত্যাদি আয়রন সমৃদ্ধ খাবার।
৩। প্রোটিন
শরীরে কোষ গঠন, ইনফেকশন দূর, শক্তি প্রদানসহ প্রোটিন শরীরের নানা কাজ করে থাকে। আপনার বাড়ন্ত শিশুর খাদ্য তালিকায় এর এক বা একাধিক অবশ্যই থাকা চাই। তবে শিশুকে বেশি পরিমাণ লাল মাংস খেতে দেওয়ার চেয়ে মাছ, ডিম, দুধ, সবজি বেশি পরিমাণে খেতে দিন।
৪। কার্বোহাইড্রেট
কার্বোহাইড্রেট মূলত শরীরে শক্তি যোগানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এটি ফ্যাট এবং প্রোটিন কাজে লাগিয়ে শরীরে নতুন টিস্যু গঠন করতে সাহায্য করে। রুটি, আলু, ভাত, পাস্তা, সিরিয়াল ইত্যাদি কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার।
৫। ভিটামিন বি১২
স্বাস্থ্যকর মেটাবলিজম তৈরিতে ভিটামিন বি বেশ কার্যকর। শিশুর বেড়ে উঠার সময় খাদ্য তালিকায় ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। বিশেষত ভিটামিন বি১২ খাবার রাখুন।
৬। ফ্যাট
ফ্যাট শিশুর শক্তির গুরুত্বপূর্ণ উৎস। শিশুর খাদ্যতালিকায় ফ্যাটও অবশ্যই থাকতে হবে। শিশু মোটা হয়ে যাচ্ছে এই ভেবে শিশুকে ফ্যাট জাতীয় খাবার থেকে দূরে রাখা উচিত নয়। ফ্যাট শরীরের অন্যান্য পুষ্টি উপাদান কাজে লাগাতে সাহায্য করে। দুগ্ধ জাতীয় খাবার, বাদাম, মাছ, মাংস ইত্যাদি।
৭। ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি
শিশুর চোখের দৃষ্টি ঠিক রাখার জন্য, তার যথাযথ বৃদ্ধির জন্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন ‘এ’র কোন বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, সর্দি, ঠান্ডা দূর করা, ক্ষত দ্রুত ভাল করতে ভিটামিন সি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া দাঁত এবং হাড় গঠন করতে সাহায্য করে। পেয়ারা, কমলা লেবু, কামরাঙা, স্ট্রবেরি, গাজর, মিষ্টি কুমড়া, পাকা আম, পাকা পেঁপে, আম, তরমুজ, মাছের তেল, মিষ্টি আলু ইত্যাদি ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার।
প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় রাখুন এক খাবারগুলো। সাথে শিশুকে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করাতে ভুলবেন না যেন।
মন্তব্য চালু নেই