বাস্তবতায় মেসির অজানা তথ্য !

অনেকেই আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা মেসিকে বলে থাকেন ভিনগ্রহের ফুটবলার। সাতাশ বছর বয়সি এ খেলোয়াড়ের জীবন অনেক কঠিন ছিল এক সময়। একজন আর্জেন্টেনীয় পেশাদার ফুটবলার ও তার ক্যারিয়ারের এ সময়ে এসে মেসির বিশ্ব ফুটবলে কেবল বিশকাপ ছাড়া আর সব জেতা হয়ে গেছে। চলুন জেনে নেই সেসব ইতিহাস :

মেসির ছোটবেলা : এতটাই লাজুক ছিলেন যে প্রথম পরিচয়ে অনেকেই তাকে বোবা কিংবা অটিস্টিক ভাবতেন। এমনকি তার শিক্ষকরা তাকে মানসিক ডাক্তার দেখানোর পরামর্শও দিয়েছিলেন। ১১ বছর বয়সে মেসির শরীরে গ্রোথ হরমোনজনিত জটিলতা দেখা দেয়।

কিন্তু তার বাবা-মায়ের সেটার চিকিৎসা করার মতো সামর্থ্য ছিল না। এ চিকিৎসার খরচ ছিল প্রতিমাসে প্রায় ৯০০ ডলার। বার্সেলোনার সাথে মেসির প্রথম চুক্তি লেখা হয়েছিল একটি ন্যাপকিন পেপারে! বার্সেলোনার স্পোর্টিং ডিরেক্টর ‘কার্লেস রেক্সাচ’ মেসির প্রতিভা দেখে এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে, তখনই চুক্তি করিয়ে নিতে চেয়েছিলেন।

খেলার চুক্তি : হাতের কাছে কোনো কাগজ না পাওয়াতে ন্যাপকিন পেপারেই লিখিত চুক্তি করে ফেলেন তিনি। বার্সেলোনা মেসির ফুটবলের কারুকাজ দেখে মুগ্ধ হয়ে তাকে ক্লাবে নেয় এবং তার পারিশ্রমিক হিসেবে চিকিৎসার পুরো ব্যয়ভার নিয়ে নেয়।

মেসির বাবা-মা এ সময় আর্জেন্টিনা থেকে স্পেনে চলে আসেন। মেসিকে স্পেনের জাতীয় দলের হয়ে খেলার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু মেসি সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেন। কারণ মেসির স্বপ্ন ছিল আর্জেন্টিনার নীল সাদা জার্সি পরে খেলার।

উপরে ওঠার সিঁড়ি : ২০০৪ সালে প্রথমবার সে সুযোগটা পেয়েছিলেন মেসি। মেসির দুই দেশের দুটি পাসপোর্ট আছে। একটি আর্জেন্টিনার ও একটি স্পেনের। ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে স্পেনের নাগরিকত্ব পায় এই তারকা।

মেসির বার্সেলোনা ও আর্জেন্টিনার জার্সির নম্বর ১০। বার্সেলোনায় মেসির আগে ১০ নম্বর জার্সিটি পরতেন আরেক কিংবদন্তি ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড় রোনালদিনিও। ১৯৮৭ সালের ২৪ জুন জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ২১ বছর বয়সে মেসি তার প্রথম ব্যালন ডি’অর পুরস্কার জয়লাভ করেন।



মন্তব্য চালু নেই