বাল্য বিয়েতে রাজি না হওয়ায় হাত-পা বেঁধে পিটুনি

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় বাল্য বিয়েতে রাজী না হওয়ায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে হাত-পা বেঁধে মারপিট করে ঘরে আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে পিতা মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে সোমবার সকাল ১০টায় ওই ছাত্রী কলি আক্তারকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে কেন্দুয়া থানা পুলিশ। এ সময় বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, রবিবার রাতে উপজেলার কাউরাট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ওই কিশোরীর নাম কলি আক্তার। সে গোগবাজার সংলগ্ন কাউরাট গ্রামের মোহাম্মদ আলীর মেয়ে।

এদিকে, হাসপাতালে গেলে কলি আক্তার জানায়, সে কাউরাট মাদ্রাসায় ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ালেখা করছে। গত চৈত্র মাসে সৎ মা মদিনা আক্তার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পিতাকে বাধ্য করে গৌরিপুর উপজেলার ধারাকান্দি গ্রামের তোতা মিয়ার পুত্র রমজানের কাছে সাদা কাগজের মাধ্যমে লিখে তাকে বিয়ে দেন। এ বিয়ে মেনে না নেয়ায় তার উপরে অত্যাচার চালানো হয়। পিতা মোহাম্মদ আলীর কথা মতো অসুস্থ শ্বশুরকে দেখতে না যাওয়ায় রবিবার রাতে পিতা মোহাম্মদ আলী, সৎমা মদিনা আক্তার, ভগ্নিপতি শাহাবুদ্দিন ঘরের দরজা বন্ধ করে হাত-পা বেধে বেধড়ক মারপিট করে ঘরের মধ্যে আটকে রাখে।

পরে, সোমবার সকালে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অভি রঞ্জন দেব জানান, স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতির মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ কলি আক্তারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।



মন্তব্য চালু নেই