বালিয়াকান্দিতে শিক্ষক নিয়োগ দ্বন্দে রেজুলেশন খাতা ছিনতাই অতপরঃ উদ্ধার

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে দু,গ্রুপের বিরোধ এখন তুঙ্গে। আদালতে মামলা ও পাল্টাপাল্টি অবস্থানের কারণে শিক্ষার পরিবেশ বিঘিœত হচ্ছে। শনিবার দুপুরে ম্যানেজিং কমিটির জরুরী সভায় রেজুলেশন খাতা ছিনতাইয়ের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে ছিনতাইকৃত রেজুলেশন খাতা উদ্ধার হয়েছে।

বালিয়াকান্দি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পঙ্কজ কুমার কর জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ ১১ টি পদ শুণ্য থাকার কারণে ম্যানেজিং কমিটি পত্রিকায় শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রদানের পর স্কুলের শিক্ষক প্রতিনিধি খন্দকার মনির আযম মুন্নু অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টির অজুহাতে নিয়োগ স্থগিতের জন্য আদালতে মামলা দায়ের করেন।

ফলে আদালত এ নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ প্রদান করে। তারমতে সভাপতির ভাই সামছুল আলম মন্টুকে কোনক্রমেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের বিষয়টি গ্রহনযোগ্য নয়। এ নিয়ে খন্দকার পরিবার ও বিশ্বাস পরিবারের সমর্থকদের ম্যানেজিং কমিটি দু,টি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। আদালতের মামলা পরিচালনার জন্য তাকে দু,টি গ্রুপের টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। সভাপতি সমর্থিত ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এম.ইমরুল আহসান পুলক মামলা পরিচালনা ও নিয়োগের জন্য দফায় দফায় ১৯ হাজার টাকা গ্রহন করেছে রেজুলেশন ছাড়াই। টাকা দেওয়া বন্ধ করলে তাকে জোড়পুর্বক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হতে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে।

সভাপতি খোদেজা বেগম কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করলে নোটিশের জবাব প্রদান করা হয়। জবাবের প্রেক্ষিতে শনিবার দুপুরে সভাপতি খোদেজা বেগম জরুরী মিটিং আহবান করেন। উক্ত মিটিংয়ে তাকে জোড়পুর্বক প্রধান শিক্ষকের পদ হতে অব্যহতি নিতে চাপ সৃষ্টি করলে এরই প্র্র্র্র্রতিবাদ করায় খন্দকার মনির আযম মুন্নুর সাথে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে তার সামনে থেকে রেজুলেশন খাতা এম. ইমরুল আহসান পুলক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ স্কুলে উপস্থিত হয়ে ছিনতাইকৃত খাতাটি উদ্ধার করে। খাতাটি তার হেফাজতে রয়েছে।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য খোন্দকার আলী আযম জানান, জরুরী মিটিং ডেকে সভাপতি ও তার অনুসারীরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পঙ্কজ কুমার করকে জোড়পুর্বক পদ থেকে অব্যাহতির জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এরই প্রতিবাদ করায় তারা রেজুলেশন খাতা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে থানা পুলিশ খাতাটি উদ্ধার করে ও তাদের বাড়ীতে যায়।

ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এম. ইমরুল আহসান পুলক জানান, ম্যানেজিং কমিটির বেশির ভাগ সদস্য প্রধান শিক্ষক হিসাবে পঙ্কজ করকে চায় না। বিষয়টি অপর সদস্য খন্দকার মনির আযম মুন্নু ও খন্দকার আলী আযম বিরোধিতা করে। বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে রেজুলেশন করতে বললে তিনি রেজুলেশন খাতায় লিখবে না বলে অস্বীকার করেন। এ কারনেই তার নিকট থেকে খাতা নেওয়া হয়েছিল পরে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

স্কুলের সভাপতি খোদেজা বেগম জানান, পঙ্কজ কুমার করকে ভালো মানুষ ও শিক্ষক ভেবে তাকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয়টি নিজের পদটি টিকিয়ে রাখতে গোপনে স্কুলের নিয়োগের বিষয়ে মামলা দিয়ে স্থগিত করেছে। এতে স্কুলের পড়ালেখার চরম বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে।
বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ এস,এম শাহজালাল জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই