বালিয়াকান্দিতে বখাটের হাতে প্রধান শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার প্রতিবাদে সুধি সমাবেশ

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন বখাটে কর্তৃক লাঞ্ছিত হওয়া ও থানা থেকে আসামী ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে শনিবার সুধি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন, নবাবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাচ্চু। অন্যান্যের উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি সুদর্শন কুমার রায়, সাবেক সভাপতি রউফ বিশ্বাস, বহরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঃ মজিদ, নবাবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন, অভিভাবক তাজুল ইসলাম, ওবায়দুর রহমান, আশরাফুল ইসলাম রতন, শফিউদ্দিন তিলা, আহম্মদ আলী, ইউনুছ আলী, হাজী মোতালেব, মানিক, ফরিদ মোল্যা প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ৪ এপ্রিল নবাবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ট শ্রেনীর ছাত্রীকে এস,এস,সি পরীক্ষার্থী খালিদ বিন অলিদ এবং নবম শ্রেণীর ছাত্র ডিজু শ্লীলতাহানীর উপযুক্ত বিচার করায় তারা ক্ষুদ্ধ হয়। গত ১১ এপ্রিল প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন স্কুল থেকে পরীক্ষার টাকা নিয়ে বাড়ী ফেরার পথে আলামিন ভুইয়া, ডিজুসহ ৪জন তার উপর লাঠি সোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশে হামলা চালায়। এলাকাবাসী ডিজু ও আলামিন ভুইয়াকে ছুরিসহ থানায় সোপর্দ করে। শিক্ষক সমিতির নেতারা লাঞ্ছিত শিক্ষককে নিয়ে থানায় অভিযোগ দিতে গেলে অভিযোগ গ্রহন না করে অসৌজন্যমুলক আচরনসহ আটককৃতদের ছেড়ে দেয়।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন,একটি ছেলেকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে থানায় সোপর্দ করা হয়। উভয়ের অভিভাবককে ডেকে এলাকায় আপোষ-মিমাংসা করার স্বার্থে থানা পুলিশ ছেড়ে দেয়। থানা থেকে বের হয়ে এসে ছেলে পক্ষ আর আপোষ-মিমাংসা করতে রাজি নয়। এরই রেশ ধরে প্রধান শিক্ষককে মারপিট করা হয়।

এলাকাবাসী ২বখাটেকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে। এবারও প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে অভিযোগ দিতে গেলে অভিযোগ না নিয়ে তাদের সামনেই বখাটেদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশের আয়োজন করলে থানা পুলিশ বিষয়টি না করার জন্য আমাকে সুপারিশ করে। আমি তাকে বলেছি বিষয়টি একান্তই তাদের ব্যাপার।

এ্রই পরিপ্রেক্ষিতে বেরুলী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীতে পড়–য়া শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানীর ঘটনা ঘটে। অভিভাবক তার ছেলেকে শাসন করে নিয়ে যায়। এ সুযোগে থানার ওসি পরদিন হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে আদালতে মামলা ও পাল্টা মানববন্ধন আয়োজন করায়। স্কুলের শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে যদি আরো কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয় তাও নেওয়া হবে। তিনি সকল অভিভাবক ও শিক্ষকদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহবান জানান।



মন্তব্য চালু নেই