বারবার কেন অপরাধ করছেন আল-আমিন? এবার তো হুমকির মুখেই পেয়েছেন!

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সম্ভাবনাময় পেসারদের অন্যতম নাম আল-আমিন হোসেন। গত বিশ্বকাপ থেকেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগের পর অভিযোগ।

অভিযোগের বিবরণীও একইরকম- শৃঙ্খলাভঙ্গ করা। শৃঙ্খলা মানতে কেন এত আপত্তি আল-আমিনের? এই শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগেই তার উপর রুষ্ট টিম ম্যানেজম্যান্ট। ঠাঁই হয়নি নিউজিল্যান্ড সফরে। নির্বাচকদের ভাষায় আল-আমিন নাকি ‘বিবেচনাতেই’ আসেননি!

গত বছর অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। শোনা যায়, প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে কেন তাকে প্রথম একাদশে রাখা হয়নি, সেটা নিয়েই নাকি ক্ষুব্ধ ছিলেন আল আমিন।

গভীর রাতে হোটেলে ফিরেছেন। এছাড়া কয়েকজনের সাথে দ্বন্দ্বেও জড়ান তিনি। পরিণতিতে দেশে ফেরত পাঠানো হয় আল-আমিনকে। তারপর থেকে তিনি ওয়ানডে ক্রিকেটের বাইরে রয়েছেন ১৩ মাস। টেস্টের বাইরে রয়েছেন ২৬ মাস।

এরপরও নিজেকে শোধরাননি তিনি। বিশ্বকাপের ঐ ঘটনার পর চুক্তি থেকে তার নাম কাটা গিয়েছিল। ৮ মাস পর মুচলেকা দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে চলতি বছরে ১৪ ম্যাচে ২২ উইকেট শিকার করেন তিনি।

তবে ফিল্ডিংয়ে মোটেই দলের প্রয়োজন মেটাতে পারেননি তিনি। টিম ম্যানেজম্যান্ট থেকে শুরু করে সতীর্থরাও দারুণ অসন্তুষ্ট ছিল তার উপর। ফিল্ডিং নিয়ে তার অনীহা এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে এবারের বিপিএলে কুমিল্লার বিপক্ষে জয়ের পর বরিশাল অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম তো বলেই দিলেন, “আল-আমিন যে গুরুত্বপূর্ণ ২টি ক্যাচ ধরেছে তাও আনন্দের ব্যাপার। ”

এই বিপিএলে আবারও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত হলেন আল-আমিন। তবে তিনি এবার একা নন, সঙ্গী করেছেন উদীয়মান তারকা ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমানকে। আসল ঘটনা প্রকাশ না করলেও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, নারীঘটিত অনৈতিক ঘটনায় ধরা পড়েছেন এই দুই ক্রিকেটার।

অপরাধ স্বীকার করলেও বড় অংকের আর্থিক জরিমানা করা হয় তাদের। ফলে আল-আমিনের উপর আরও ক্ষুব্ধ হয় বোর্ড। অন্যদিকে অবশ্য সাব্বির নিজের ফেসবুক পেইজে এক ভিডিও বার্তায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছিলেন।

সেই সাব্বির নিউজিল্যান্ড যাচ্ছেন আজ। কিন্তু বিপিএল কান্ডের আগেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে স্কোয়াডে জায়গা হয়নি আল-আমিনের। তাকে রাখা হয়েছিল স্ট্যান্ডবাই ক্রিকেটার হিসেবে। বিপিএলে দুই পেসার মোহাম্মদ শহিদ এবং শফিউল ইসলাম আহত হওয়ায় অনেকেই আল-আমিনের সম্ভাবনা দেখেছিলেন।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত রুবেল হোসেন এবং কামরুল হাসান রাব্বী বিমানে উঠার আমন্ত্রণ পান। আল-আমিনের নাম নাকি বিবেচনাতেই আসেনি! প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর ভাষ্যমতে শুধু শৃঙ্খলা ভঙ্গ নয়, আরও অনেক বিষয়ে আল-আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।

কিন্তু কেন বারবার একই অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে নিজের ক্যারিয়ারকে হুমকির মুখে ফেলছেন আল-আমিন? এর জবাব হয়তো তিনিই একমাত্র দিতে পারবেন!-কালের কণ্ঠ



মন্তব্য চালু নেই