বাবুল আক্তার চাকরিতে বহাল আছে : আইজিপি
পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার এখনো চাকরিতে বহাল রয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরির্দশক এ কে এম শহীদুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর নাসিরাবাদে সিএমপির অফিসার্স মেসের উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান।
আইজিপি বলেন, সে (বাবুল আক্তার) চাকরিতে বহাল আছে। তবে সে অফিস করেনা। আমাদের সাথে যোগাযোগ করছে না। কোনো অফিসারের সাথেও যোগাযোগ রাখছে না। সে বলছে সে মানসিকভাবে ডিপ্রেসড, চাকরি করার মানসিক অবস্থায় নেই। সে তো আমাদের সাথে কথাও বলছে না। পুলিশ সদর দপ্তরেও যাচ্ছে না।
এভাবে ছুটিতে না থাকার পরও সে যদি অফিস না করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান আইজিপি।
যদিও গত ২৫ জুন নাটকীয়ভাবে নিজের স্ত্রীকে হত্যার গুজব ছড়িয়ে এসপি বাবুল আক্তারকে ঢাকার শ্বশুরবাড়ির থেকে মধ্যরাতে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে টানা ১৫ ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয় ডিবি কার্যালয়ে। পরে তাকে বাসায় ফিরেয়ে দেওয়া হলেও পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত এসপি বাবুল আক্তার আর স্বপদে যোগদান করেননি।
গণমাধ্যমে খবর বের হয়েছিল, বাবুল আক্তার চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন ওই দিন রাতেই। তবে এনিয়ে নানা খবর বের হলেও সরকার কিংবা পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও সুস্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এমনকি এ নিয়ে মুখ খুলেননি বাবুল আক্তার নিজেও। এরই মধ্যেই পুলিশের মহাপরিদর্শক জানালেন বাবুল আক্তার এখনো চাকরিতে আছেন।
গত ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি’র মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত ও গুলিতে খুন হন এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনার পরদিন পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে একটি হত্যামামলা দায়ের করেন।
ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাব, সিআইডি, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিআই)। তবে মামলার মূল তদন্তে আছে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
ঘটনার পর গত ২৬ জুন থেকে গোয়েন্দা পুলিশ বিভিন্ন সময়ে সরাসরি কিলিং মিশনে অংশ নেয়া শাহজাহান, ওয়াসিম, আনোয়ার, অস্ত্র সরবরাহকারী এহতেশামুল হক ভোলা, তার সহযোগি মনিরকে গ্রেপ্তার করে।
এ ছাড়াও মূল হোতা মুছার ভাই সাইদুল শিকদার সাকুকেও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল সরবরাহের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে। এদের মধ্যে ওয়াসিম ও আনোয়ার আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের বিশদ বর্ণনা দিয়েছেন।
যদিও গত ৫ জুলাই ভোরে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ঠান্ডাছড়ি এলাকায় অন্যতম সন্দেহভাজন রাশেদ ও নবী গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন, পুলিশ যাদেরকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ দাবি করে আসছে।
বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে পুলিশের এ্ শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, এ মামলার তদন্তে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। মেইন একিউসড যে মুছা তাকে গ্রেপ্তার করতে পারলে আমারা মামলার মূল রহস্য উদঘাটন করতে পারব।
মন্তব্য চালু নেই