বাবা-মায়েরা যেভাবে আত্মকেন্দ্রিক করে তুলছেন সন্তানকে

নিজের সন্তানকে কি অন্যদের থেকে পুরো আলাদা মনে হয়? এই বিশেষত্বের জন্য তার জন্যে বিশেষ কিছু বরাদ্দ করছেন? মনে রাখবেন, এর মাধ্যমে আপনার সন্তানকে আত্মকেন্দ্রিক মানুষে পরিণত করছেন। যে সকল বাবা-মা তার সন্তানের নানা বৈশিষ্ট্যকে অন্যের থেকে আলাদা বলে মনে করেন এবং এটা ঈশ্বর প্রদত্ত বলে বিশ্বাস করেন, তারা নিজের অজান্তে সন্তানকে আত্মকেন্দ্রিক বানিয়ে দিচ্ছেন। এই শিশুরা বড় হয়ে নিজের প্রতি মুগ্ধতা নিয়ে চলবে যা তার জীবনের প্রতিটি অংশে প্রভাব বিস্তার ঘটাবে।

ওহিয়ো স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ব্রাড বুশম্যান বলেন, শিশুরা তার বাবা-মায়ের সব কথাই বিশ্বাস করে। তারা অন্যদের থেকে আলাদা- এসব কথা যদি বাবা-মায়ের মুখ থেকে শোনে, তবে নিজের সম্পর্কে সেই ধারণাই গড়ে ওঠে তাদের। এটা সমাজে তাদের আদর্শ ব্যক্তিত্বে পরিণত করে না। বরং উল্টোটা হতে পারে। কিন্তু সন্তানের আত্মবিশ্বাস বাড়াতেই সাধারণত এসব কাজ করে থাকেন সবাই। আত্মবিশ্বাস বাড়াতে এই পদ্ধতি গ্রহণ করা হলে শিশুরা নিজের সম্পর্কে অতিমূল্যায়ন করতে শেখে।

৫৬৫ জন শিশুকে নিয়ে এ গবেষণা শুরু হয়। এদের সবার বয়স ৭-১১ বছর। আত্মবিশ্বাস এবং আত্মকেন্দ্রিকতা ভিন্ন উপায়ে গড়ে ওঠে শিশুদের মধ্যে।

শিশুদের মধ্যে যখন এ ধারণা জন্মে যে, তারা অন্যের মতোই, তখন তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস গড়ে ওঠে। কিন্তু তারা অন্যের চেয়ে বেশি ভালো- এমন বোঝানো হলেই তাদের মধ্যে আত্মকেন্দ্রিকতা গড়ে ওঠে।
প্রোসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস এর অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে এ গবেষণা প্রতিবেদনটি।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস



মন্তব্য চালু নেই