বাবা-মাকে পুঁতে ফেলার পর প্রেমিকাকে মমি!
এ যেন কেঁচো খুঁড়তে অজগর বেরিয়ে এলো। প্রেমিকাকে হত্যার পর ট্রাংকে মমি করে রাখা নিয়ে চলছিল জিজ্ঞাসাবাদ। একপর্যায়ে খুনি স্বীকার করে, নিজের বাবা-মাকেও মেরে পুঁতে রেখেছে সে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের যুবক উদয়ন দাস পুলিশের কাছে এমন রোমহর্ষক স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
ভোপাল পুলিশ জানায়, আকাঙ্ক্ষা শর্মার ঘাতক প্রেমিক উদয়ন জেরার মুখে স্বীকার করেছে- নিজের বাবা-মাকেও সে গলা টিপে খুন করে তাদের দেহ মাটিতে পুঁতে রেখেছে।
জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গে বাঁকুড়ার মেয়ে আকাঙ্ক্ষা শর্মার সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভোপালের উদয়নের পরিচয় এবং প্রেম গড়ে ওঠে। মাস ছয়েক আগে আমেরিকায় চাকরি করতে যাচ্ছেন জানিয়ে আকাঙ্ক্ষা ভোপালে চলে যান। সেখানে উদয়নের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন।
মাসখানেক পর থেকে আর কোনো খোঁজ মিলছিল না আকাঙ্ক্ষার। শেষ পর্যন্ত যখন তার খোঁজ মিলল, তার মধ্যে ঘটে গেছে ভয়ঙ্কর সব ঘটনা। আকাঙ্ক্ষাকে খুন করে পাঁচ ফুট বাই তিন ফুটের ট্রাংকে লাশ ভরে তাতে সিমেন্টের বেদি করে রেখে দিয়েছিল উদয়ন। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশি অভিযানে তার কুকীর্তি ফাঁস হয়।
উদয়নের দাবি ছিল, তার বাবা মারা গেছেন, আর মা থাকেন আমেরিকায়। কিন্তু মায়ের সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়েই তার কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়তে থাকে।
শেষ পর্যন্ত চাপের মুখে নিজের পুরনো দুষ্কর্মের কথাও স্বীকার করে উদয়ন। সে জানায়, ২০১০ বা ২০১১ সাল নাগাদ নিজের বাবা-মাকে গলা টিপে খুন করেছিল সে।
এখানেই শেষ নয়। ঠিক আকাঙ্ক্ষার মতোই উদয়ন তার বাবা-মাকেও খুন করে মাটিতে নিজ হাতে পুঁতে রেখেছিল। রায়পুরে তাদের পুরনো বাড়ির বাগানেই তাদের পুঁতে রাখা হয়।
উদয়নের এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে তাকে রায়পুর নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই উদয়নকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই