বাবার আত্মহত্যা, মায়ের ক্যানসারেও হার-না-মানা
মোহালিতে তিনি নিছক ক্রিকেট খেলছিলেন না। জীবনের বিবৃতিই যেন পেশ করে যাচ্ছিলেন এক-একটি শট মেরে।
প্রতিপক্ষ শিবিরের খেলোয়াড় হলেও তাঁর সাফল্যে উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি না দিয়ে উপায় নেই। বেয়ারস্টো যে শুধু ব্যাট হাতে বলকে শাসন করলেন না। শুধুই ভারতের মাটিতে ভারতীয় স্পিনারদের আক্রমণ ভোঁতা করে ১৭৭ বলে ৮৯ রানের লড়াকু ইনিংস খেললেন না। বেয়ারস্টো যে জীবনযুদ্ধের কঠিন সংগ্রামেও জয়ী হলেন। তাঁর জীবনের ট্র্যাজেডি যে কারও চোখে জল এনে দেবে। মাত্র আট বছর বয়সে একদিন মায়ের হাত ধরে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে দেখলেন বাবা আত্মহত্যা করেছেন। দারিদ্র, অভাব-অনটনে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে পৃথিবী ছেড়েই চলে যান তিনি।
বেয়ারস্টোর জীবনযুদ্ধ সেদিন থেকেই শুরু হয়ে গেল। এবং, উত্তরোত্তর বেড়েই চলল। এরপর বড় হয়ে আবিষ্কার করলেন, তাঁর মা ক্যানসারে আক্রান্ত। বেয়ারস্টো তখন ভারত সফরেই এসেছিলেন ২০১২ সালে। পৃথিবী ভেঙে পড়ার উপক্রম হয় তাঁর। বাবা চলে যাওয়ার পর থেকে মা’ই যে তাঁর পৃথিবী। তাঁর অনুপ্রেরণাতেই ক্রিকেট খেলার শখ বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছিলেন ইংল্যান্ডের উইকেটকিপার।
ক্যানসারে আক্রান্ত মা’কে সুস্থ করে তোলার লড়াই চালানোর পাশাপাশি ক্রিকেট খেলে গিয়েছেন তিনি। অভিভাবকের মতো সাহায্য করে গিয়েছেন জেফ বয়কট। যিনি বেয়ারস্টোর বাবার বিশেষ বন্ধু ছিলেন। আর্থিক সাহায্য পর্যন্ত করেছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা ওপেনার। মোহালিতে শেষ পর্যন্ত যারাই টেস্ট জিতুক, সেরা আবেগ হয়ে হৃদয়ে জায়গা করে নিলেন জনি বেয়ারস্টো।
মন্তব্য চালু নেই