বাবার অনুরোধে পায়ে শিকল, মায়ের মামলায় শিক্ষক কারাগারে
এক শিশু শিক্ষার্থীকে তার বাবার অনুরোধে শিকলে বেঁধে পাঠদান করান শিক্ষক। কিন্তু শিশুটির মায়ের দায়ের করা মামলায় এখন হাফেজ মাওলানা নবী হোসেন নামের ওই শিক্ষক কারাগারে।
সোমবার বরগুনার পাথরঘাটা পৌর শহরের নতুন বাজার ব্রিজ সংলগ্ন বাইতুল ফালাহ নুরানী পাঠশালায় এ ঘটনা ঘটে।
শিশু শিক্ষার্থীর নাম সিফাত উল্লাহ। সে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের মো. ছগির মোল্লার ছেলে।
শিশুটি জানায়, কয়েকদিন ধরে তাকে কাঠের টুকরোসহ পায়ে শিকল দিয়ে পাঠশালায় পাঠদান করানো হয়। সকালে শিক্ষক নবী হোসেন বাইরে গেলে নাস্তা খেতে বাজারের ইদ্রিসের হোটেলে যাই। পথচারীরা আমাকে দেখে ছবি তুলতে থাকে। তখন বাজারের মধ্যে হৈচৈ পড়ে যায়। পরে মাদ্রাসা থেকে শিক্ষক এসে আমাকে পাঠশালায় নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পাথরঘাটা থানা পুলিশ শিকলবন্দী অবস্থায় আমাকে উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানান, গত জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে সিফাতকে ওই পাঠশালায় ভর্তি করানো হয়। গত ৫ ফেব্রুয়ারি পাঠশালা থেকে পালিয়ে যায় সে। পরে তার বাবা সিফাতকে নিয়ে পাঠশালায় এসে শিক্ষককে শিকলে বেঁধে রাখার জন্য বলেন।
শিশুটির বাবা মো. ছগির মোল্লা জানান, সিফাতকে বাড়ির পাশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করানো হয়েছিল। পরে স্কুল ফাঁকি দেয়ায় তাকে মাদ্রাসায় ভর্তি করানো হয়। সেই মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যাওয়ার ভয়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখতে শিক্ষককে অনুরোধ করেছিলাম।
পাথরঘাটা থানা ওসি এসএম জিয়াউল হক জানান, সিফাতের মা আয়শা বেগম বাদী হয়ে শিশু আইনে মামলা করলে শিক্ষককে আটক করা হয়। সোমবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই