বান্দরবানে সেনাবাহিনী-সন্ত্রাসী গোলাগুলি, বিপুল অস্ত্র উদ্ধার
বান্দরবানের গহীন দুর্গম এলাকায় সন্ত্রাসীদের গোপন আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়। পরে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
পরে সন্ত্রাসীদের আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করে সেনা সদস্যরা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে রুমা সেনা জোনের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি দুষ্কৃতিকারীরা চাদাবাজি, ছিনতাই আর অপহরণ কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে পাবর্ত্য অঞ্চলে শান্তি ও সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করছে। গত বুধবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসব দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রুমা সেনা জোনের অভ্যন্তরে দুর্গম এলাকায় সন্ত্রাসীদের আস্তানায় হানা দেয়া হয়। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এসময় কেউ হতাহত হয়নি।
পরে সন্ত্রাসীদের আস্তানা থেকে বিপুল গোলাবারুদ ও সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে। এর মধ্যে রয়েছে- একটি মার্ক-২ রাইফেল, সাতটি রাইফেল ম্যাগাজিন, ২২২ রাউন্ড তাজা গুলি, একটি এক্সপ্লোসিভ গ্রেনেড, একটি রাইফেল গ্রেনেড, একটি ওয়াকি-টকি সেট, দুটি ধারালো ছুরি, দুটি রাইফেল ম্যাগাজিন পৌচ, একটি এলএমজি ম্যাগাজিন পৌচ, এক সেট কম্বেট পোশাক, একটি কম্বেট ক্যাপ, একটি হ্যামক ও একটি হ্যাভার সেক ও কিছু নথিপত্র।
উল্লেখ্য, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে বান্দরবানের রুমা উপজেলার পর্যটন স্পট বগালেকের উদ্দেশ্য পাঁচ পর্যটক বেড়াতে গিয়ে দুইজন অপহরণের শিকার হয়েছেন। এর হলেন- জাকির হোসেন মুন্না (৩৪) ও আব্দুল আল জুবায়ের (২৬)। তারা গাইডসহ পাচিংপাড়া থেকে রাঙামাটির বিলাইছড়ি যাওয়ার পথিমথ্যে অপহরণের শিকার হন। এসময় সেনাবাহিনীর পোশাক পরা একদল সশস্ত্র উপজাতি গাইডসহ তাদের চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত তাদের সন্ধান মেলেনি।
মন্তব্য চালু নেই