বাজেট উচ্চাভিলাষী, এটাই সরকারের বৈশিষ্ট্য
বাজেট উচ্চাভিলাষী হওয়াটাই মহাজোট সরকারের বৈশিষ্ট্য বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
তিনি বলেন, ‘আগেরবার ক্ষমতায় থাকাকালে শুরু থেকেই আমরা উচ্চাভিলাষী বাজেট দিয়েছি। এবারের বাজেটও উচ্চাভিলাষী। এটা আমরা নিয়মিত ধরে রেখেছি। আমরা সেটা বাস্তবায়নও করতে পারছি। এটাই আমাদের চরিত্র।’
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদিক সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী এ দাবি করেন।
বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, ‘আমরা প্রতিবছরই উচ্চাভিলাষী বাজেট দেই এবং সেটা বাস্তবায়নও করা হয়। এটা প্রতিবছরই সার্থক হয়।’
করমুক্ত আয়ের সীমা ২ লাখ ২০ হাজার থেকে না বাড়ানোর ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো দেশেই আমাদের মতো প্রতিবছর এ সীমা বাড়ে না। আমি চেয়েছিলাম এ সীমা ২ লাখ ৫০ হাজারে নিয়ে যেতে। যাতে আগামী ১০ বছরে এতে হাত দেয়া না লাগে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এতে সম্মতি দেন নাই। তাই এটি আর করা হয়নি।’
বাজেটে ধনী-গরিবের বৈষম্য করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশই একমাত্র দেশ, যেখানে বৈষম্য এবং দারিদ্র্য একসঙ্গে কমছে। যা বিশ্বের অন্য কোথাও নেই। বিশ্বের মধ্যে এটি একটিই উদাহরণ।’
হঠাৎ করে সোনার ওপর কেন নজর পড়লো জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে এটা কর আদায়ের একটা বড় খাত। এটা আমাদের নজরে ছিল না। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আমাকে বললো ভরিতে মাত্র ১৫০ টাকায় দেশে স্বর্ণ আমদানি করা হয়। ভারতে এটা ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। তাই নতুন করে সোনার ওপর কর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
তাছাড়া মোবাইল ফোনের দাম বাড়ানোর ফলে গ্রাহকদের মধ্যে কোনো অসন্তোষ দেখা যাবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আসলে যেটা বাড়ানো হয় তা খুবই সামান্য। গ্রাহকরা এটা নিয়ে খুব বেশি অসুবিধায় পড়বে বলে মনে হয় না।’
একই বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বলেন, ‘আসলে আমাদের এখানে মোবাইল ফোন সেট আমদানিতে কোনো কর ছিল না। কিন্তু যারা দেশে মোবাইল ফোন সংযোজন করতো তাদের ওপর করারোপ করা ছিল। এটা একটা উল্টো ব্যাপার। এখানে শুধু আমদানি ও উৎপাদনের ওপর করারোপে সামঞ্জস্য আনা হয়েছে।’
এসময় অর্থমন্ত্রী ছাড়াও বাজেট বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
মন্তব্য চালু নেই