বাজেটের বড় অংশ সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন

২০১৬-১৭ সালের প্রস্তাবিত বাজেট সংসদে উত্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। টাকার অঙ্কে বাজেটের আকার ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। এ বাজেটের মাত্র এক তৃতীয়াংশ (৩২ দশমিক ৫ শতাংশ) বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে খরচ করা হচ্ছে।

বাকি অংশ (৬৭ দশমিক ৫ শতাংশ) ব্যয় হবে সরকারের বিভিন্ন খাতে; যার মধ্যে রয়েছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, সঞ্চয়পত্র ও দেশি-বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধ।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাংলাদেশের ৪৫তম বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। মোট বাজেটের অর্ধেকের বেশি আসবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নিয়ন্ত্রিত কর থেকে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রিত কর ৫৯.৭ শতাংশ অর্থাৎ ২ লাখ ৩ হাজার ১৫২ কোটি টাকা। এর মধ্যে মূল্য সংযোজন কর বা (ভ্যাট) ৩৫.৮ শতাংশ, আমদানি শুল্ক ১১.১ শতাংশ, আয়কর ৩৫.৪ শতাংশ, সম্পূরক শুল্ক ১৪.৮ শতাংশ এবং অন্যান্য ২.৯ শতাংশ। এছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বহির্ভূত কর থেকে আসবে ২.১ শতাংশ।

কর ছাড়া প্রাপ্তি ৯.৫ শতাংশ ও অভ্যন্তরীণ অর্থায়ন থেকে ১৮.১ শতাংশ ধরা হয়েছে। বৈদেশিক ঋণ থেকে ৯ শতাংশ ও বৈদেশিক অনুদান ধরা হয়েছে ১.৬ শতাংশ।

বাজেটে উন্নয়ন বরাদ্দ হিসেবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ও পদ্মা সেতুর গুরুত্ব বিবেচনায় এডিপির বরাদ্দে সবচেয়ে অগ্রাধিকার পাচ্ছে পরিবহন খাত। পদ্মা সেতুতে ৬ হাজার ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রাক্কলন করা হয়েছে। এই খাতের সার্বিক উন্নয়নে মোট ২৮ হাজার ৫০৩ কোটি টাকার বরাদ্দ রাখা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই