বাজারের কোন ফলে রাসায়নিকের বিষ, চিনে নিন সহজ উপায়ে
ফল পাকানোর জন্য ক্যালসিয়াম কার্বাইড, এথিলিনের মতো বিভিন্ন রাসায়ণিকের ব্যবহার নতুন কিছু নয়। দীর্ঘদিন এই ধরনের রাসায়নিক শরীরে গেলে তা থেকে ক্যানসার, কিডনির সমস্যা, ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ কেমিক্যাল কার্বাইডের মতো রাসায়নিকের মধ্যে ফসফরাস, আর্সেনিক থাকে। কিন্তু কোন ফল রাসায়নিক দিয়ে পাকানো, আর কোনটা স্বাভাবিকভাবে পেকেছে, তা কীভাবে চিনবেন?
• কলা কৃত্রিমভাবে পাকানো হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কলার খোসায় কালো ছোপ পড়তে থাকে।
• আবার আম কৃত্রিমভাবে পাকানো হলে গায়ে সবুজ এবং হলুদ রংয়ে সামঞ্জস্য থাকে না। হলুদ রংয়ের মাঝে সবুজ সবুজ ছোপ থাকে। এর অর্থ, রাসায়নিকটি ফলের মধ্যে ভালভাবে মেশেনি।
• ফল কেনার পরে বালতিতে জল ভরে তার মধ্যে ফলটি ফেলুন। যদি ফল জলের মধ্যে সম্পূর্ণ ডুবে যায়, তাহলে সেটি স্বাভাবিকভাবে পেকেছে। কিন্তু যদি ভেসে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে, ফলটি কৃত্রিমভাবে পাকানো হয়েছে।
• কৃত্রিম পদ্ধতিতে পাকানো কলা বা আমের স্বাভাবিক মিস্টিভাব থাকে না। বাইরে থেকে হলদে হয়ে গেলেও ভিতরে শক্ত থেকে যায়। চেহারা শুকনো হয়, রসালো ভাব কম থাকে।
• কৃত্রিমভাবে রাসায়নিকের সাহায্যে পাকানো ফল খেলে তা থেকে বমি, মাথা ঘোরার মতো সমস্যা হতে পারে। একটানা অনেক দিন খেলে প্রভাব পড়ে কিডনিতে।
মন্তব্য চালু নেই