বাক ও চিন্তার স্বাধীনতা গুম করেছে সরকার: খালেদা

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, বর্তমান সরকার দেশে একদলীয় স্বেচ্ছাচারী শাসন কায়েম করেছে। গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাক, ব্যক্তি ও চিন্তার স্বাধীনতাকে গুম করেছে।

২৪ জানুয়ারি ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, “২৪ জানুয়ারি জাতীয় ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর ১৯৬৯ সালের এ দিনে তৎকালীন পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ছাত্র-জনতার সেই গণ-প্রতিরোধ তীব্র আকার ধারণ করে রুপ নেয় গণ-অভ্যুত্থানে।”

খালেদা জিয়া বলেন, “আর সেই গণ-অভ্যুত্থানে পতন নিশ্চিত হয়েছিল স্বৈরশাসকের। আর এরই ধারাবাহিকতায় উন্মুক্ত হয়েছিল একাত্তরে আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পথ।”

তিনি বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের মূল মানস বা মেজাজ ছিল স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তন, বহুদলীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম, বহুমত ও চিন্তার চর্চা ও মানুষের হারানো অধিকার ফিরে পাওয়া।”

আমাদের জাতীয় জীবনে উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের তাৎপর্য অপরিসীম উল্লেখ করে খালেদা বলেন, “এ দিবস আমাদের গণতন্ত্র ও স্বাধীকার অর্জনের চেতনাকে শাণিত করে এবং সব অন্যায় অবিচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে অনুপ্রেরণা জোগায়।”

খালেদা জিয়া বলেন, “গণতন্ত্র-স্বাধীকার অর্জনে উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান আমাদের কাছে আজও অনুপ্রেরণা। কারণ এখন আবারও বর্তমান সরকার একদলীয় স্বেচ্ছাচারী শাসন কায়েম করেছে, গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাক, ব্যক্তি ও চিন্তার স্বাধীনতা গুম করেছে।”

বিবৃতিতে খালেদা বলেন, “২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি একতরফা ভোটারবিহীন নির্বাচন করে ভোট দিয়ে নিজের পছন্দমতো প্রতিনিধি বাছাই করার অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে।”

উনসত্তরের গণ-আন্দোলনসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আত্মদানকারীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং রুহের মাগফেরাত কামনা করে এ মহান দিবসে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এবং মানুষের মৌলিক ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান সাবেক প্রধানমন্ত্রী।



মন্তব্য চালু নেই