বাকি ৬ কর্মদিবস, আয়-ব্যয়ের হিসাব এসেছে এক দলের
দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর ২০১৫ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্ধারিত সময়ের আর মাত্র ৯ দিন (৬ কর্মদিবস) বাকি থাকলেও এ পর্যন্ত ৪০টির মধ্যে মাত্র একটি দল তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব কমিশনে জমা দিয়েছে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) পর্যন্ত শুধু ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তাদের ২০১৫ সালের (১ জানুয়ারি-৩১ ডিসেম্বর) আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে কমিশনে। গত বুধবার (২০ জুলাই) দলের মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ স্বাক্ষরিত দলটির আয়-ব্যয়ের হিসাবটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বরাবর জমা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৫ জুন ইসির নিবন্ধনে থাকা ৪০টি রাজনৈতিক দলকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়ার জন্য দলগুলোর মহাসচিব বরাবর চিঠি দেয় কমিশন। তবে উচ্চ আদালতের রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষিত হওয়ায় দলটিকে এ সংক্রান্ত কোনো চিঠি দেয়া হয়নি।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর কোন খাত থেকে কত টাকা আয় ও ব্যয় হয়েছে, বিল-ভাউচারসহ তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য কমিশনের নির্ধারিত একটি ছকে জমা দিতে হবে। কমিশন থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে আয়-ব্যয়ের হিসাবের ফরম দেয়া হয়। রাজনৈতিক দলগুলোকে আয়-ব্যয়ের হিসাব দেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিটি খাত অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট তথ্য তারিখসহ উল্লেখ করতে হবে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ও রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আগের পঞ্জিকা বছরের আর্থিক লেনদেনের হিসাব প্রতিটি নিবন্ধিত দলকে জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই একটি রেজিস্টার্ড চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিং ফার্ম দিয়ে দলের হিসাব অডিট করাতে হবে। এ হিসাবে সদস্য সংগ্রহসহ কোন খাত থেকে কত টাকা আয় হয়েছে, কত টাকা ব্যয় হয়েছে বিল-ভাউচারসহ তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য কমিশনে জমা দিতে হবে।
গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ ১৯৭২-এর ৯০-এইচ (১) (সি) ধারা অনুযায়ী নিবন্ধিত কোনো দল যদি পরপর তিন বছর কমিশনে আয়-ব্যয়ের তথ্য দিতে ব্যর্থ হয় তবে সে দলের নিবন্ধন বাতিল করতে পারবে নির্বাচন কমিশন।
মন্তব্য চালু নেই