বাংলা চলচ্চিত্র এবং সাহসী নায়িকারা

দেশে সামাজিক ও ধর্মীয় প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে অনেক মেয়েই চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে সাহস পান না। আর চলচ্চিত্র পাড়ার নির্মাতারা খুঁজে বেড়ান সাহসী নায়িকাদের। যারা অভিনয়টা করতে চান এবং করতে পারেন।

বর্তমানে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনে এমন কিছু সাহসী নায়িকা আছেন যাদের সাহসের প্রশংসা করছেন অনেকেই। বেশি দূরে নয়, বলিউডি চলচ্চিত্রের দিকে তাকালেই বোঝা যায় তাদের চলচ্চিত্র আর আমাদের মধ্যে ব্যবধান কতদূর। তবে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছেন বেশ কিছু অভিনেত্রী।

রুহি
মডেল হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন রুহি। নাটক থেকে এখন চলচ্চিত্রে নিয়মিত অভিনয় করেছেন তিনি। বর্তমান সময়ের বাংলা চলচ্চিত্রের আরেক সাহসী নায়িকা এই রুহি। চলচ্চিত্রের প্রয়োজনে সব ধরনের চরিত্রেই অভিনয় করতে রাজি আছেন তিনি। সব ধরণের পোশাক পরতেও আপত্তি নেই তার।

আইরিন
২০০৮ সালে র‌্যাম্প মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন সাহসী মেয়ে আইরিন। বেশ কিছু নাটকে কাজ করেন। কিন্তু ইচ্ছে তার বড় পর্দায় কাজ করা। ২০১১ সালে মোহাম্মদ আলী পারভেজের পরিচালনায় ‘প্রিয়তমা, তুমি দাঁড়ি আমি কমা’ নামের চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় তার। এরপর বেশকিছু ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। আর সব ছবিতেই নিজের সাহসের পরিচয় দেন।

তবে এই সাহসী নায়িকাদের হাত ধরে রুচিসম্মতভাবে এগিয়ে যাক বাংলাদেশের চলচ্চিত্র, এমনটিই প্রত্যাশা করেন চলচ্চিত্র পাড়ার মানুষেরা।

নায়লা নাঈম
সম্প্রতি সবচেয়ে আলোচিত অভিনেত্রীর কথা যদি বলা হয়, তাহলে প্রথমেই বলতে হবে নায়লা নাঈমের কথা। ফেসবুকে নিজের খোলামেলা ছবি পোস্ট করে এরই মাঝে নিজের সম্পর্কে জানান দিয়েছেন তিনি। ঝড় তুলেছেন আলোচনার। তার খোলামেলা ছবিগুলো বেশ আলোচিত হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধমে। এরই মধ্যে বেশকিছু ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাবও পেয়ে গেছেন তিনি।
তন্ময় তানসেনের ‘রানআউট’ ছবিতে আইটেম গার্ল হিসেবে এরই মধ্যে অভিষেক হয়েছে তার। বরিশালের এই মেয়ে পেশায় একজন দন্ত চিকিৎসক। কিন্তু তার খোলামেলা ছবির কারণে অনেকেই তাকে পর্নোতারকা বলে দাবি করছেন। যদিও এ বিষয়ে নায়লার কথা তিনি ওই ধরণের কোনো কাজ করেননি। তিনি শিল্পসম্মতভাবেই নিজেকে ক্যামেরায় ফুটিয়ে তুলছেন। তিনি অশ্লীলতা করছেন না।

নায়লা সংগীতশিল্পী প্রীতম আহমেদের ‘ভোট ফর ঠোঁট’ গানের মডেল হয়েও বেশ সামালোচিত হয়েছেন সম্প্রতি।

পিয়া
মডেল-অভিনেত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া বর্তমানে টিভি নাটক আর চলচ্চিত্রে সমানে কাজ করে যাচ্ছেন। এই সাহসী নায়িকা তার সাহসের প্রমাণ দিয়েছেন বেশ কয়েক বছর আগেই। ২০০৭ সালে মিস বাংলাদেশ হয়ে মূলত আলোচনায় আসেন তিনি। ২০১১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় আয়োজিত ‘ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি’ খেতাব জয়। ‘ইন্ডিয়ান প্রিন্সেস ইন্টারন্যাশনাল’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়া। মিশরে অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড টপ মডেল’ প্রতিযোগিতায় শীর্ষ মডেল হওয়ার সাফল্যও অর্জন করেন পিয়া। আর এ প্রতিযোগিতায় অন্য প্রতিযোগীদের সঙ্গে তার বিকিনি পরে পোজ দেয়া ছবিই দেশীয় মিডিয়ায় তাকে তুমুল আলোচনায় নিয়ে আসে।

বিপাশা
চলচ্চিত্র পাড়ায় এক নামেই সবাই চেনে বিপাশাকে। আইটেম গার্ল হিসেব বেশ আলোচিত তিনি। আইটেম গার্ল হিসেবে শাহীন সুমন পরিচালিত ‘ভালোবাসার রঙ’ ছবি দিয়ে যাত্রা শুরু হয় তার। তারপর একই পরিচালকের ‘অন্যরকম ভালোবাসা’, ‘জটিল প্রেম’; মনতাজুর রহমান আকবরের ‘তবুও ভালোবাসি’, রাজু চৌধুরীর ‘রোমিও ২০১৩’, জাকির হোসেন রাজুর ‘এর বেশি ভালোবাসা যায় না’, বদিউল আলম খোকনের ‘নিষ্পাপ মুন্না’ ছাড়াও বেশ কয়েকটি ছবিতে আইটেম গার্ল হিসেবে পারফর্ম করেন তিনি। ২০০৯ সালে মিডিয়াতে বিপাশা কবিরের কাজ শুরু।

ববি
ববিকে নাকি অনেকেই চলচ্চিত্রের ড্রির্ম গার্ল বলে থাকেন। ববি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের শুরু থেকে শরীরের সৌন্দর্য দিয়ে দর্শককে মুগ্ধ করার সাহস দেখিয়েছেন। গত ঈদে মুক্তি প্রাপ্ত ‘আই ডোন্ট কেয়ার’ ছবিটি নিয়েও তিনি এখন বেশ সমালোচনার মধ্যে আছেন। এর আগে ‘রাজত্ব’ ছবির একটি দৃশ্যে বেশ খোলামেলা অবস্থায় দেখা গিয়েছিল তাকে।



মন্তব্য চালু নেই