বাংলাদেশ সফর নিয়ে ইংলিশ মিডিয়ায় মিথ্যা গুজব, চটেছে ইংল্যান্ড দল

ইংল্যান্ড দলের আসন্ন বাংলাদেশ সফর বানচাল করার নতুন এজেন্ডা নিয়ে এগুচ্ছে ইংলিশ মিডিয়া। তাদের লক্ষ্য, যেভাবেই হোক ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলকে আসন্ন বাংলাদেশ সফর থেকে আটকানো। তারা প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে, বাংলাদেশের বর্তমান নিরাপত্তা ব্যবস্থা সন্তোষজনক নয় এবং এদেশে এলে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের প্রাণহানির আশংকা আছে, এ ধারণাকে একটি প্রতিষ্ঠিত সত্যে রূপান্তরের।

স্পর্শকাতর এই ইস্যুতে দেশের সাধারণ মানুষের সেন্টিমেন্ট নিজেদের দিকে আনতে প্রায় প্রতিদিনই ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর সম্পর্কে নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ করছে সে দেশের সংবাদমাধ্যমগুলো। সেগুলোর মধ্যে অধিকাংশই যে নিছকই মনগড়া তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

তবে তাদের এই অপচেষ্টা একটি নতুন মাত্র পেল শুক্রবার। দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট, দ্য গার্ডিয়ান, দ্য টেলিগ্রাফ, ডেইলি মেইলসহ ইংল্যান্ডের প্রায় সকল শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে,‘ বাংলাদেশে নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকলেও সফর অব্যহত রাখতে বদ্ধপরিকর ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। তবে কোন খেলোয়াড় চাইলে এই সিরিজ থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহারেরও সুযোগ পাবে।’

এমন সংবাদে বেজায় চটেছে ইসিবি। এ ধরনের সংবাদে হতবাক ইসিবি’র বড়কর্তারা। সংবাদ সম্মেলনে এসে ইংল্যান্ড দলের সহকারী কোচ পল ফারবেসও সে কথাই বললেন। শুরুতে ব্যাঙ্গাত্মকভাবে তিনি বলেন, ‘আমি তো এসব কিছুই জানি না, আপনাদের মারফতই প্রথম শুনছি!’

তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড়রা চাইলে সিরিজ বর্জন করতে পারবে, এ ধরনের কোন আলোচনাই হয়নি আমাদের মধ্যে।’

তিনি আরো বলেন, ‘টেস্ট ও ওয়ানডে স্কোয়াডের সদস্যদের সাথে ১০-১২ দিন আগে আমাদের কথা হয়েছে। তখন আমরা সিদ্ধান্ত নেই বাংলাদেশ সিরিজ নিয়ে আমরা এই মুহূর্তে ভাববো না। নিরাপত্তা পরিদর্শকরা তাদের রিপোর্ট জমা দেয়ার পরই সবকিছু নিশ্চিত হওয়া যাবে। তার আগে আমাদের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কিছু বলার নেই।’

ফারবেস আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সফর না করা একটা কঠিন সিদ্ধান্ত হবে। লজ্জার ব্যাপার পাকিস্তানে কোন দল যাচ্ছে না। লাহোরে হামলার সময় আমি ওই বাসেই ছিলাম। ভাগ্যক্রমে আমরা প্রাণে বেঁচেছিলাম। খেলোয়াড় ও স্টাফদের নিরাপত্তা অবশ্যই একটা বড় ব্যাপার, কিন্তু কোন দেশে সফর না করার সিদ্ধান্তটা তার থেকেও বেশি গুরুতর। বাংলাদেশ আশা করছে আমরা সেখানে খেলতে যাব।’

বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি যাচাই করে দেখতে ১৭ আগস্ট ঢাকায় আসবেন রেগ ডিকাসনের নেতৃত্বে ইসিবি’র নিরাপত্তা পরিদর্শক দল। বিসিবি কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলার পাশাপাশি তারা বাংলাদেশ পুলিশ, সেনাবাহিনী ও অন্যান্য সামরিক দলের সাথেও মাঠ পর্যায়ে কাজ করবেন তারা, এবং তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন বাংলাদেশে বিদেশী দলের সফর করা সত্যিই নিরাপদ কিনা। এই একই নিরাপত্তা পরিদর্শক দলই এই মুহূর্তে ভারতে অবস্থান করছে সে দেশের পরিস্থিতি পরখ করে দেখতে। অক্টোবরে বাংলাদেশের সাথে দুই টেস্ট আর তিন ওয়ানডে খেলার পর ভারত সফরে যাওয়ার কথা আছে ইংল্যান্ডের।



মন্তব্য চালু নেই