বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ সাজানো বলায় সভাপতির সমালোচনায় আইসিসি নির্বাহী
বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে আম্পায়ারদের সততা নিয়ে প্রশ্ন করায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) বাংলাদেশী সভাপতির তীব্র সমালোচনা করে সংস্থার প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন শুক্রবার বলেছেন, গড়াপেটার অভিযোগ ‘দুর্ভাগ্যজনক’ ও ‘ভিত্তিহীন’।
বার্তা সংস্থা এএফপি পরিবেশিত খবরে বলা হয়, আইসিসি সভাপতি মোস্তাফা কামাল দাবি করেছেন যে, বৃহস্পতিবার মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচটি ‘সাজানো’ ছিল।
মোস্তফা কামালা ক্রুদ্ধভাবে বলেন, রুবেল হোসেনের বলে ভারতের রোহিত শর্মা (১৩৭ রান করে শীর্ষ স্কোরার) ৯০ রানের সময় মিড উইকেটে ধরা পড়লেও তাকে আউট দেয়া হয়নি এ কারণে যে দুই আম্পায়ার আলিম দার ও ইয়ান গোল্ড দৃশ্যত বৈধ বলকে নো-বল কল করায়।
তবে রিচার্ডসন ওই দুই আম্পায়ারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব প্রদর্শনের অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন।
রিচার্ডসন বলেন, ‘আইসিসি মোস্তফা কামালের মন্তব্য নোট করেছে। তা দুর্ভাগ্যজনক হলেও তিনি ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে তা করেছেন। আইসিসি সভাপতি হিসেবে আইসিসির ম্যাচ কর্মকর্তাদের সমালোচনা করার ক্ষেত্রে তাকে আরো সচেতন হওয়া উচিত।’
দক্ষিণ আফ্রিকার এই সাবেক উইকেটরক্ষক বলেন, নো বলের সিদ্ধান্তটি ছিল ৫০-৫০ কল। খেলার স্পিরিট হলো আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত এবং তার প্রতি অবশ্যই শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে।
তিনি বলেন, ম্যাচ কর্মকর্তাদের ‘অন্য এজেন্ডা’ ছিল কিংবা তারা তাদের সেরা সামর্থ্য না দেখিয়ে অন্য কিছু করেছিলেন বলে যেকোনো অভিযোগ ভিত্তিহনি এবং সম্ভাব্য সবচেয়ে জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যানযোগ্য।
মোস্তফা কামাল বলেছিলেন, তিনি প্রতিবাদে পদত্যাগের কথা চিন্তা করছেন।
বাংলাদেশের টেলিভিশনে প্রচারিত মন্তব্যে মোস্তফা কামালা বলেন, ‘আইসিসি সভাপতি হিসেবে আমি যা বলতে পারি তা বলত পরের সভায়। এমনও হতে পারি আমি পদত্যাগ করতে পারি।
তিনি বলেন, আম্পায়ারিংয়ের কোনো মান নেই। মনে হচ্ছে মাঠ আগে থেকেই সাজানো ছিল।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মাহমুদুল্লাহকে বাউন্ডারি দড়ির একেবারে প্রান্ত থেকে ক্যাচ ধরা হলে সেটাকে আউট দেয়ার সিদ্ধান্তেও বাংলাদেশী ফ্যানরা ক্রুদ্ধ হয়েছেন।
গত বছর ভারতের নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন আইসিসির চেয়ারম্যান হওয়ার পর সংস্থার সভাপতির পদটি এখন আলংকারিক হয়ে পড়েছে।
মোস্তাফা কামাল বলেন, আইসিসির অর্থ মনে হয় হয়ে গেছে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল।
তিনি বরেন, আমি ইন্ডিয়াল ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রতিনিধিত্ব করতে পারি না। কেউ যদি আমাদের ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়, তবে তা গ্রহণ করা যায় না।
মন্তব্য চালু নেই