বাংলাদেশ-চীন ৫ চুক্তি স্বাক্ষর

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ে ৫টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মধ্যে দুটি চুক্তি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ও জলবায়ু পরিবর্তনে উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করা।

চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের গ্রেট হলে সোমবার বৈঠক শেষে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে দু’দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা স্বাক্ষর করেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং নিজ নিজ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। খবর বাসস।

বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক জানান, স্বাক্ষরিত পাঁচটি চুক্তির মধ্যে দুটি চুক্তি হলো সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং পত্র বিনিময় (ইওএল)।

প্রধানমন্ত্রীর গণমাধ্যম উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারি একেএম শামীম চৌধুরী এসময় উপস্থিত ছিলেন।

পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক জানান, চুক্তিগুলো হলো- বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্থনীতি ও কারিগরি সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি এবং পটুয়াখালীতে কয়লাচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। চট্টগ্রামে চীনা ইকোনোমিক অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট জোন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ জোন কর্তৃপক্ষ (বেপজা) এবং চীনের হারবার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।

তিনি বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচটি প্রস্তাবিত প্রকল্প বাস্তবায়নে চীন সরকারের সহায়তা চেয়েছেন।
চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে শেখ হাসিনাকে আশ্বাস দিয়েছেন।’

প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলো হলো- বাংলাদেশ সরকারের জন্য ন্যাশনাল আইসিটি ইনফ্রা-নেটওয়ার্ক (ফেস-৩), রাজশাহী ওয়াসা সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণ, কালুরঘাট পয়েন্টে কর্নফুলি নদীর ওপর দ্বিতীয় রেলওয়ে-কাম-সড়ক সেতু নির্মাণ, রামু হয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন ডুয়েল গেজ রেল লাইন নির্মাণ, ইস্টার্ন রিফাইনানি ইউনিট-২ এবং সিঙ্গেল পয়েন্ট নিউমুরিং প্রজেক্ট প্রতিষ্ঠা।

পররাষ্ট্র সচিব আরো জানান, দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ প্রসঙ্গটি আলোচনায় স্থান পায়। এই বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষ আলোচনা অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই