বাংলাদেশে ওই মানবাধিকার চলবে না
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কঠোর সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা কাদের মানবাধিকার রক্ষা করে? তারা কী অপরাধীদের মানবাধিকার রক্ষা করে? এখানে (বাংলাদেশে) ওই মানবাধিকার চলবে না।’
সোমবার দুপুরে ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে আওয়ামী যুবলীগের ৪২ তম প্রতিষ্ঠিাবার্ষিকী সফল করতে ঢাকা জেলা প্রতিনিধিসভায় তিনি এ কথা বলেন। প্রতিনিধি সভার উদ্বোধন করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান মো: ওমর ফারুক চৌধুরী।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর উদ্দেশে শেখ সেলিম বলেন, ‘তোমাদের আইন দিয়ে বাংলাদেশে বিচার হয় না। বাংলাদেশের আইনেই আমরা বিচার করছি। কারো রক্ত চক্ষুকে বাংলাদেশ ভয় পায় না। তোমার মানবাধিকার আটলান্টিকের ওপারে রাখো। ইউরোপের ওপারে রাখো। আমার দেশের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলো না।’
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে তাদের মানবাধিকার কোথায় ছিল এমন প্রশ্ন করে তিনি বলেন, তাদের মানবাধিকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এরা একটা শ্রেণীর মানবাধিকার রক্ষা করে। মাবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের প্রক্রিয়া চলমান আছে। একে একে সব অপরাধীর বিচার হবে। কেউ এ বিচার বন্ধ করতে পারবে না।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘বাংলার মাটিতে আপনারও বিচার হবে। আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা করতে চাইলে পরবর্তীতে আর রেহাই পাবেন না।’
সূচনা বক্তব্যে যুবলীগের চেয়ারম্যান মো: ওমর ফরুক চৌধুরী বলেন,‘ বাংলাদেশের মানুষ বেশি কথা বলে। কিন্তু কথার চেয়ে কাজ বেশি করতে হবে। সংগঠনের চালাতে হলে কর্মসূচি থাকতে হবে। কর্মসূচি ছাড়া সংগঠন বিনোদন ক্লাবে পরিণত হয়।’
সংগঠনের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যুবলীগ আগামীকাল মঙ্গলবার রাত ১২.০১ মিনিটে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করবে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধুর বাড়ির সামনে। এছাড়া ১১ নভেম্বর সকাল ৯ টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পার্ঘ্য অর্পণ এবং ১০ টায় বনানী কবরস্থানে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণিসহ সব শহীদের কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা শেষে দোয়া মাহফিল করবে দলটি।
১৫ নভেম্বর দুপুর ২টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান করবে আওয়ামী যুবলীগ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
ঢাকা জেলা যুবলীগের সভাপতি শফিউল আজম বারকুর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ, সাবেক সংসদ সদস্য বেনজির আহমেদ, ঢাকা জেলা পরিষদের প্রশাসক মিসেস হাসিনা দৌলা, সাভারের সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমান, যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী, শহীদ সেরনিয়াবাত, ফারুক হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুর আলম শাহীন, দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, শিক্ষা সম্পাদক মিজানুল ইসলাম মিজু, উপ প্রকাশনা সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাঈনুল হাসান খান নিখিল, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই