বাংলাদেশে আসতে চাইছেন না কোহলিসহ আরও কজন !
গত জুনে বাংলাদেশ সফরে ভারতের অনেক তারকা খেলোয়াড়ই আসেননি। নিয়মিত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি তো ছিলেনই না, আসেননি সহ-অধিনায়ক বিরাট কোহলিও। সুরেশ রায়নার কাঁধে নেতৃত্বের দায়িত্ব দিয়ে তরুণ দল পাঠিয়েছিল ভারত। শোনা যাচ্ছে, এবারও বাংলাদেশ সফরের সময় নাকি ‘ছুটি’ চাইছেন বিরাট কোহলিসহ ভারতের কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড়।
এখনো দল ঘোষণা হয়নি ভারতের। বাংলাদেশ সফরে দল গঠনে সন্দ্বীপ পাতিলের নেতৃত্বে নির্বাচক কমিটি মুম্বাইয়ে এক বৈঠকে বসবেন আগামী ২০মে। এর পরই জানা যাবে, কে কে আসবেন না এ সফরে। তবে ভারতের শীর্ষ দৈনিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, কোহলিসহ কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার এই সফরে যেতে আগ্রহী নন।
বিসিসিআইয়ের সূত্রকে উদ্ধৃত করে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস লিখেছে, ‘কোহলি নিশ্চিত করেছে ও একটা ছুটি চায়। গত এক বছরে অনেকগুলো সফর হয়েছে জন্য আরও কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটারও বাংলাদেশে যেতে আগ্রহী না। তাদের কয়েকজন বিশ্রাম চেয়েছে। কিন্তু বিসিসিআই কমপক্ষে কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে বাংলাদেশে পাঠাতে চায়, তাতে করে টিভি দর্শকদের আগ্রহটা ধরে রাখা যাবে।’
এই সফর দিয়েই টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর কথা কোহলির। এর আগে ধোনির আকস্মিক অবসরে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করলেও কোহলি-যুগ আসলে শুরু হওয়ার কথা বাংলাদেশেই। এমনও হতে পারে, কোহলি শুধু একমাত্র টেস্টটা খেলে দেশে ফিরে গেলেন। ওয়ানডে সিরিজটা নাও খেলতে পারেন কোহলিসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়ায় দীর্ঘ প্রায় তিন মাসের সফর করেছে ভারত। বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্ট খেলে এসে কদিন পরেই শুরু হয়েছে আইপিএল। ২৪ মে আইপিএলের ফাইনাল। জুনের প্রথম সপ্তাহেই বাংলাদেশে আসার কথা ভারতের। সফরে একটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলবে তারা।
গত বছরও আইপিএলের পর পর বাংলাদেশ সফরে এসেছিল ভারত। সেই দলে ছিলেন রবিন উথাপ্পা, অজিঙ্কা রাহানে, আম্বাতি রাইডু, ঋদ্ধিমান সাহা, অক্ষর প্যাটেল, পারভেজ রাসুলরা। ভারতের দ্বিতীয় সারির সেই দলটাই ২-০তে সিরিজ জিতে গিয়েছিল। এ নিয়ে ভারতীয় সমর্থকেরা খোঁটাও দিয়ে থাকেন। কিন্তু তিন ওয়ানডের সেই সিরিজটা বেশ কিছু কারণে মনে রেখেছেন বাংলাদেশের সমর্থকেরা।
এই সিরিজ দিয়েই বাংলাদেশের ক্রিকেটে শুরু হয়েছিল হাথুরুসিংহে অধ্যায়। ভরা বর্ষায় প্রতিটা ম্যাচেই বৃষ্টি বাগড়া দিয়েছিল, পুরো ৫০ ওভার করে কোনো ম্যাচেই খেলা হয়নি। প্রথম ম্যাচে ২৭২ রান তুলেও বৃষ্টির কারণে ভারতের নতুন লক্ষ্য নির্ধারিত হওয়ায় ম্যাচটা তাদের জন্য সহজ হয়ে যায়। এর মধ্যে দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে মাত্র ১০৫ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ নিজে গুটিয়ে গিয়েছিল ৫৮ রানে। আর তৃতীয় ম্যাচে ১১৯ রানে ভারতের ৯ উইকেট ফেলে দেওয়ার পর আর খেলাই হয়নি।
আবারও বর্ষাতেই বাংলাদেশ সফরে আসছে ভারত। এরই মধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে সিরিজের সময়সূচি। ফুতল্লায় সিরিজের একমাত্র টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে ১০-১৪ জুন। মিরপুরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে ১৮, ২১ ও ২৪ জুন। এবার অবশ্য বৃষ্টির কথা বিবেচনা করে প্রতিটি ম্যাচের জন্য রাখা হয়েছে রিজার্ভ ডে।
ভারতের মতো ‘ধনী আত্মীয়’কে নেমন্তন্ন করাটাই কঠিন।
বর্ষা ছাড়া বাংলাদেশ সফরের অবকাশ ভারতের হয়তো নেই। তার ওপর এই সফরে সিনিয়রদের আবারও বিশ্রামে রাখতে পারে তারা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তান যেভাবে নাস্তানাবুদ হয়েছে, তাতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড আদৌ কোহলিদের ছুটি দেবে কিনা, সেটাও দেখার।
মন্তব্য চালু নেই