বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট ধরলেন ওয়াসিম-শোয়েব
দু’টি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি খেলতে চলতি বছরের ৯ জুলাই বাংলাদেশ সফরে আসছে পাকিস্তান। দেশটির সংবাদমাধ্যম পাকিস্তান টুডে এ খবর জানিয়েছিল। গত মাসে শ্রীলঙ্কায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খানও এ কথাই বলেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ দুবাইয়ে আইসিসি সভা চলাকালিন ইউটার্ন নিলেন মিষ্টার খান। জানিয়ে দিলেন, জুলাইয়ে পাকিস্তান দল বাংলাদেশে যাচ্ছে না।
পাকিস্তান ক্রিকেটের প্রধানের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন খোদ সে দেশেরই সাবেক একাধিক খেলোয়াড়। তারা মনে করেন এই মুহুর্তে বাংলাদেশের সাথে ক্রিকেটীয় সম্পর্ক নষ্ট করা মোটেও ঠিক হবে না পাকিস্তানের। দেশটির জীবন্ত কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম পাকিস্তান টেলিভিশনের এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, অনেক সময় ধমক দিয়ে কাজ হয় না। কূটনৈতিক পন্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়। বাংলাদেশ পাকিস্তানের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত, এটাই স্বাভাবিক।
তিনি আরো বলেন, যদিও লাহরে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান সুপার লিগের ফাইনালে ভালো মতোই সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু সব কিছুর একটা নিয়ম আছে। বাংলাদেশের বোর্ড কর্তাদের দাওয়াত দিয়ে নিরাপত্তা ইস্যুতে প্রেজেন্টেশন ও ব্রিফিং দেয়া হোক। একটা নিয়ম মেনে সব কিছু ঠিক করার চেষ্টা করা হোক। আমরা বাংলাদেশকে আমাদের ভাইয়ের মত দেখে এসেছি। অনেক বছর ধরেই আমরা বাংলাদেশর ক্রিকেটে সাহায্য করে এসেছি।
পাকিস্তানের আরেক সাবেক গতি তারকা শোয়েব আখতার বলেছেন, কূটনৈতিক ও ক্রিকেটীয় স্বার্থে বাংলাদেশ সফরে যাওয়া উচিত পাকিস্তান দলের। যদি বাংলাদেশ না যায়, তাহলে সেটা আরও বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে পাকিস্তানের জন্য। সেটা এড়ানোর জন্য পাকিস্তানের সফরে যাওয়া উচিত। আর সেখানে খেললে পাকিস্তানের উপকারই হওয়ার কথা। টেস্ট-ওয়ানডে যাই হোক সফর হলে সেটা সহজ হবে না। কারণ, বাংলাদেশ এখন ভালো দল।
যদিও শোয়েব আখতার বাংলাদেশের হাই পারফর্মেন্স দল পাকিস্তানে পাঠানোকে অপমান হিসেবে দেখছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে আমাদের এখানে হাইপারফরমেন্স দল পাঠাবে এটা কিছুটা হলেও অপমানজনক। আইসিসির পূর্ণ সদস্য হিসেবে এটা মেনে নেয়া যায় না। বিশেষ করে যখন বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের মত দলের বেড়ে ওঠায় পাকিস্তানের অনেক সাহায্য ছিল। এখন আমাদের বিপদে তাদের পাশে থাকা উচিত।
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রাশিদ লতিফ বলেন, বাংলাদেশ সফরে না গেলে ঐ সময়ে কি করবে পাকিস্তান দল। ভারতের সাথে কোন সফরের কথা হচ্ছে না তো? ভারত হয়ত চাইবে আইসিসি লভ্যাংশের ক্ষতি পাকিস্তানের সাথে সিরিজ খেলে পুষিয়ে নিতে। সেটা না হলে পাকিস্তানের বাংলাদেশে যাওয়া উচিত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেও কিছুদিন আগে সেখানে খেলে এসেছে ইংল্যান্ড। ক্রিকেট প্রেমীরা ভারতের সাথে সেটা হয়েছে একই জিনিস বাংলাদেশের সাথেও হতে দেখতে চাইবে না। কারন বাংলাদেশ এখন খুবই ভালো দল।
মন্তব্য চালু নেই