বাংলাদেশের বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড চিত্র

বাংলাদেশের বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড নিয়ে এখন বিভিন্ন স্যোসাল মিডিয়া বেশ সরব। আলোচনা সমালোচনায় উঠে আসে লেখকদের নিজস্ব মতামত। প্রজন্ম ফোরামে ঠিক এমনই কিছু মন্তব্য করেছেন মেরাজ নামক এক লেখক। আমাদের পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হল।

১) বাংলাদেশে মেয়েদের বয়ফ্রেন্ড পাওয়া যেন বাম হাতের খেলা। মেয়ে হওয়ার বদৌলতে চাইলে বয়ফ্রেন্ড পাবেই। শুধু তার নিজের ইচ্ছার প্রয়োজন। এখানে প্রাথমিকভাবে ভালোবাসা কাজ করে মনে হলেও আসলে ভালোবাসার কোনো স্থান নাই। ৪ নং অনুচ্ছেদের ছেলেদের সাথে এদের বেশি দেখা যায়।

২) হ্যা অনেক মেয়ে আছে যারা বয়ফ্রেন্ড বানাতে উৎসুক না কিংবা ইচ্ছুক না। তারা আসল ভালোবাসা খুজে যেটা বর্তমানে খুবই বিরল আর বের করাও কঠিন কোনটা আসল কোনটা নকল। দেখা যায় অপেক্ষা করতে করতে তাদের বিয়ে হয়ে যায়।

৩) কিন্তু সাধারনত ছেলেদের সেই সৌভাগ্য নেই। ছেলেদের গার্লফ্রেন্ড পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। যদিও একজন গার্লফ্রেন্ড পায়, তার কথামত চলতে হয়। কখন না আবার ব্রেকআপ করে বসে। আর মেয়ে সুন্দরী হলেতো ছেলে দরদর করে ঘামতে থাকে আতংকে। কখন না তাকে ছেড়ে আরেক ছেলের কাছে চলে যায়। অবস্যই সবকিছুরই ব্যাতিক্রম আছে। কিন্তু সাধারনত এখন এটাই হচ্ছে।

৪) মূদ্রার অপরপিঠে একদল ছেলে আছে যারা উপরে বর্নিত মেয়েদের পুরুষ রূপ। অর্থাৎ তারা এতই সুন্দর/স্মার্ট/ফ্লার্টবাজ যে সহজেই মেয়েরা সহজেই পটে যায় আর সহজেই গার্লফ্রেন্ড হয়ে যায় (প্রথম অনুচ্ছেদ দ্রষ্টব্য)। এনারা ব্রেকআপ করতে ভয় পায়না। তাই মেয়েরা তখন দরদর করে ঘামতে থাকে আতংকে। পজেসিভনেস কাজ করে তীব্রভাবে। এরা তো অনেক সময় একের অধিক মেয়ের সংগে সম্পর্ক রাখে। বলাই বাহুল্য যেসব মেয়ে এদের সংগে সম্পর্ক রাখে তারা নিজেরাও সিরিয়াস না। প্রথম অনুচ্ছেদের মেয়ে দ্রষ্টব্য।

৫) অনেকের মধ্যে এতই ভালোবাসা(!) থাকেযে অসামাজিক কার্যকলাপ করতে তাদের সমস্যা হয়না। কারন তাদের মতে তারা বিয়ে করে ফেলেছে।

৬) বাংলাদেশে এখন western কালচারের সাথে মিল রেখে Friends with Benefits অথবা No Strings Attached মেথড শুরু হয়েছে। (এগুলা কি জিনিষ আলোচনা করলামনা গুগল করেন tongue )



মন্তব্য চালু নেই