বাংলাদেশের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বনিম্ন রান

দক্ষিণ আফ্রিকার এবারের সফরে দলটির মিডল অর্ডার আর লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরা ব্যাটিংয়ের সুযোগই পাচ্ছিলেন না। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে প্রোটিয়ারা মাত্র ৪ উইকেট হারায়। পরের টি-টোয়েন্টিতে ৮ উইকেটে এবং প্রথম ওয়ানডেতে একই ব্যবধানে জয় পায় সফরকারীরা।

বাংলাদেশের বোলিংয়ে তাদের প্রথম সারির ব্যাটসম্যানরাই যথেস্ট! দক্ষিণ আফ্রিকার সেই ভুল রোববার ভেঙে যায়। বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সফরকারীদের প্রত্যেকটি ব্যাটসম্যান ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছেন। বোলারদের দাপটে সবকটি উইকেটে হারিয়ে রোববার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৬২ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।

পেসারদের পাশাপাশি স্পিনাররা বেশ দাপটের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস হ্যান্ডেল করেছেন। ইনিংসের শুরুতেই তরুণ তুর্কি মুস্তাফিজ কুইন্টন ডি কককে ফিরেয়ে সফরকারী শিবিরে আঘাত করেন। মুস্তাফিজের লাফিয়ে ওঠা বল না পারলেন ছাড়তে, না পারলেন খেলতে! ফলাফল ব্যাটের কানায় লেগে বল পয়েন্টে সাব্বিরের হাতে।

পরের আঘাতটি হানেন একাদশে সুযোগ পাওয়া রুবেল হোসেন। আত্মবিশ্বাসী ও ধারাবাহিক হাশিম আমলার উইকেটে আঘাত করে কমপক্ষে পনের গজ দূরে পাঠিয়ে দেন রুবেল।

এরপর শুরু হয় সাকিব, নাসির, মাহমুদউল্লাহর ম্যাজিক শো। রানের চাকা আটকে রাখার পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের বাইশ গজের উইকেটে বারবার ভোগাচ্ছিলেন তিন স্পিনার।

সাকিব উইকেটের দেখা না পেলেও নাসির দুটি ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একটি উইকেট তুলে নেন। স্কোরবোর্ড তিন অঙ্কে পৌঁছানোর আগেই আরো এক ব্যাটসম্যান সাজঘরে। ৬ উইকেটে সফরকারীদের রান ১০০।

সেখান থেকে ক্রিস মরিসকে রুবেল, রাবাদাকে মুস্তাফিজ ফিরিয়ে দিলে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের লেজটা গুড়িয়ে দেন নাসির হোসেন ও মাশরাফি বিন মুর্তজা।

৪৬ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৬২ রানে গুটিয়ে যায় প্রোটিয়াদের ইনিংস। স্বাগতিক বোলারদের সুনিন্ত্রিত বোলিংয়ে ওভারপ্রতি ৩.৫২ রান তোলেন তারা। শুধু সুনিয়ন্ত্রিত বোলিংই নয়, দাপটের সঙ্গে ফিল্ডিং করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে চমকে দিয়েছেন নাসির-সাব্বিররা।

বাংলাদেশের সেরা বোলার নাসির হোসেন। ৮ ওভারে ২৬ রানে ৩ উইকেট নেন। সমানসংখ্যক উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। তবে রান খরচ করেন ৩৮। রুবেলের ২ উইকেটের সঙ্গে মাশরাফি ও মাহমুদউল্লাহ ১টি করে উইকেট নেন।

এটি দক্ষিণ আফ্রিকার বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বনিম্ন রান। এর আগে ২০০৭ সালের ৭ এপ্রিল দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৮৪ রান করে প্রোটিয়ারা। ওই ম্যাচেই বাংলাদেশের কাছে ৬৭ রানে হেরেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।



মন্তব্য চালু নেই