বাংলাদেশের অনুপ্রেরণা আশরাফুলের সেই সেঞ্চুরি (ভিডিও)

২০০৫ সালের ১৮ জুন বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের এক স্বর্ণখচিত দিন। সেদিন বাংলাদেশ হারিয়ে দিয়েছিল দুর্ধর্ষ অস্ট্রেলিয়াকে। মোহাম্মদ আশরাফুলের চোখধাঁধানো সেঞ্চুরিতে নির্মিত সেই জয় বাংলাদেশের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে আজীবন। আজ বেঙ্গালুরুতে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হওয়ার সময়ও নিশ্চয়ই অনুপ্রাণিত করবে মাশরাফি এবং তাঁর সতীর্থদের। ঐ ম্যাচে যে ছিলেন মাশরাফিও।
রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া তখন ভীষণ শক্তিশালী দল। পন্টিংয়ের দলে তখন ছিলেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, ম্যাথু হেইডেন, মাইকেল হাসি, মাইকেল ক্লার্ক, গ্লেন ম্যাকগ্রা, জেসন গিলেস্পির মতো রথী-মহারথীরা। তবে দারুণ ব্যাটিং লাইনআপ নিয়েও খুব বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। সেজন্য বাংলাদেশের বোলারদের কৃতিত্ব প্রাপ্য।
কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন্সে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সেই সময়ের ওয়ানডে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা করেছিল পাঁচ উইকেটে ২৪৯ রান। ১০ ওভার বল করে মাত্র ৩৩ রানের বিনিময়ে গিলক্রিস্টের মূল্যবান উইকেট নিয়েছিলেন মাশরাফি। মোহাম্মদ রফিক উইকেট পাননি, তবে বাঁহাতি স্পিনে ১০ ওভারে মাত্র ৩১ রান দিয়ে বেঁধে রেখেছিলেন প্রতিপক্ষের রানের চাকা। ৬৯ রানে তিন উইকেট নিয়েছিলেন পেসার তাপস বৈশ্য।
জবাবে ৭২ রানে তিন উইকেট হারিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে গেলেও আশরাফুল ও অধিনায়ক হাবিবুল বাশারের ১৩০ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। হাবিবুল ৪৭ রান করে রানআউটের খাঁড়ায় কাটা পড়লেও আশরাফুলকে সেঞ্চুরি বঞ্চিত করতে পারেননি ম্যাকগ্রা-গিলেস্পিরা। ১০১ বলে ১১টি চারসহ ঠিক ১০০ রান করে আউট হয়েছিলেন টেস্ট ক্রিকেটের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান।
আশরাফুলের বিদায়ের সময় প্রয়োজন ছিল ১৭ বলে ২৩ রান। তখনো বাংলাদেশ আশা-নিরাশার দোলাচলে। তবে আফতাব আহমেদের একটা ‘ক্যামিও’ ইনিংস দূর করে দিয়েছিল সব সংশয়। ১৩ বলে ২১ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়েই মাঠ থেকে ফিরেছিলেন আফতাব, শেষ ওভারে গিলেস্পিকে মেরেছিলেন চোখধাঁধানো ছক্কা। যে ছক্কা আজো চোখে ভাসে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ উইকেটের সেই জয় বাংলাদেশের ক্রিকেটে কার্ডিফ-মহাকাব্য নামে পরিচিত। ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে সফল দলকে এরপর আর হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। আজ বেঙ্গালুরুতে কি আরেকটি মহাকাব্য রচিত হবে?
https://youtu.be/uwQlhXYaBRg

































মন্তব্য চালু নেই