বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রীকে ধর্ষনের পর হত্যা করল ভারতীয় ধর্ষকেরা
বাংলাদেশী এক নারী পাসপোট যাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা লাশ ফেরত দিচ্ছে ভারতীয় পুলিশ। রবিবার রাত ১২টার সময় নিহতের লাশ বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন পোর্ট থানা পুলিশ। নিহতের নাম নারগিছ(৩৪)। সে খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা থানার ৩/১, কেডিএ এপ্রোস রোডের বাসিন্দা সাহাবুদ্দিনের মেয়ে।
রবিবার বিকালে বেনাপোল চেকপোস্টে মেয়ের লাশ নিতে আসা অন্ধ মা মনিবালা জানান, তারা ডাক্তার দেখানোর জন্য ধার-দেনা করে তিনি নিজের এবং মেয়ে নারগিছ ও নারগিছের মেয়ে কাকলী(০৬) এর জন্য তিনটি পাসপোট করেন।
পরে ভিসা লাগিয়ে ৯মার্চ/১৫ তারিখে ভারতে যান। হাওড়া স্টেশন থেকে ৩৫৫ টাকা করে ট্রেনের টিকেট কিনে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। রাত সাড়ে ৩টার দিকে ৪ থেকে ৫জন যুবক তাদেরকে বলেন দিল্লি এসেগেছে, সবাই নামেন।
এসময় সবাই ট্রেন থেকে নেমে যায়। পরে মেয়েটি আমার বলল ট্রেনে ব্যাগ ফেলে এসেছি। ব্যাগটি আনতে যাওয়ার সময় কারা যেন আমার মেয়ের মুখ চেপে ধরে ট্রেনে উঠিয়ে নিয়ে যায়। আমি অন্ধ মানুষ চোখে দেখিনা। কেবল মেয়ের গোংরানো চিৎকার শুনতে পেয়ে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকি।
ততক্ষণে ট্রেন ছেড়ে চলে যায়। সকাল হলে আমি কোথায় আছি তা স্টেশন এলাকায় জিজ্ঞাসা করলে জানতে পারি কানপুর স্টেশনে আছি। আমাদের তিনটি পাসপোর্টই ছিল আমার মেয়ের কাছে।
কয়েকদিন ধরে সেখানে বসে কাঁদতে থাকি আর মানুষের কাছে আমার মেয়ের খোজ খবর নেই। অনেকে বলে তোমার মেয়ে বাংলাদেশে চলে গেছে। পরে কে বা কাহারা ১৬ মার্চ/১৫ তারিখে আমাকেসহ আমার ৬ বছরের নাতনিকে পাসপোর্ট ছাড়া বাংলাদেশে পৌছে দিয়ে যায়। হঠাৎ খুলনা সোনাডাঙ্গা থানার পুলিশ জানায় তোমার মেয়ে ভারতে মারা গেছে। লাশের সাথে ৩টি পাসপোর্ট পাওয়া গেছে তাতে তোমাদের ঠিকানা রয়েছে।
বলতে বলতে হতভাগি মা কাঁদতে কাঁদতে আপ্লুত হয়ে পড়ল। পরে নিজেকে সামলে আবার বললেন, মৃত্যুর সংবাদ শুনে দীর্ঘদিন ধরে দেশের বড় বড় অফিসে আবেদন করেছি আমার মেয়ের লাশটি ফেরত এনে দেওয়ার জন্য। অবশেষে এক মাস ১০দিন পর আজ দু’দেশের অনুমতিতে লাশটি দেশে আনা হচ্ছে।
এ সময় তিনি আরো বলেন, আমার মেয়েকে ভারতের দূর্বত্বরা ধর্ষনের পরে মেরে ফেলেছে। আমি এ হত্যার বিচার চাই।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি অপূর্ব হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, রবিবার রাত ১২ টার দিকে নিহতের লাশ বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে হস্তান্তর করবে ভারতীয় পুলিশ।
মন্তব্য চালু নেই