বাংলাদেশি নাগরিকের লাশ ফেরত দিল বিএসএফ
ভারতীয় দিনহাটা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে বাংলাদেশি নাগরিক অমল চন্দ্রের (৩৬) লাশ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় ফেরত দিয়েছে ভারতীয় বিএসএফ।
ভারতে স্থানীয় লোকজনের নির্যাতনে নিহত অমল চন্দ্র লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার নওদাবাস এলাকার মৃত যতীন বর্মণ মাস্টারের ছেলে।
ধারণা করা হচ্ছে, ভারতীয় স্থানীয় লোকজন অমল চন্দ্রকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ সীমান্তে রেখে গেছে।
লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ন ও নিহতের স্ত্রী স্বপ্না রাণী জানায়, মাদক পাচারের অভিযোগে লালমনিরহাট, পাবনা ও বগুড়ায় পুলিশের হাতে অমল চন্দ্র আটক হয়ে প্রায় ৩ বছর হাজতে ছিলেন। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আদালতের মাধ্যমে জামিনে ছাড়া পান। এরপর হতে পুলিশি গ্রেফতার এড়াতে ভারতের কোচবিহার জেলার সিতাই এলাকায় নিকটাত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন করে বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু সেখান হতে হঠাৎ ২২ মার্চ নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পরদিন ২৩ মার্চ অমলের মৃতদেহ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর সীমান্তের ৯২৫ নম্বর মেইন পিলারের ৬ নম্বর সাবপিলারের ওপারে কোচবিহার-১২৪ বিএন বিএসএফ ব্যাটালিয়নের একটি টহল দল উদ্ধার করে। পরে লাশ শনাক্ত করা হয়। ভারতীয় বিএসএফ বাংলাদেশি নাগরিক লাশ নিশ্চিত করে বিজিবিকে খবর দেয়।
রাতেই লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক ও কোচবিহার-১২৪ বিএন বিএসএফ ব্যাটালিয়নের পরিচালক পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিজিবি-বিএসএফের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিহত বাংলাদেশির লাশ ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় ওই সীমান্ত পথে বিজিবির হাতে বিএসএফ হস্তান্তর করে। পরে নিহতের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল আহমদ বজলুর রহমান হায়াতী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
মন্তব্য চালু নেই