বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হবে
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, বাঁশখালীতে বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হলে এ এলাকার পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হবে।
শুক্রবার দুপুরে বাঁশখালীর হাজিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মানববন্ধন ও সংহতি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেছেন। এর আগে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ১২টার দিকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করে।
আনু মুহাম্মদ বলেন, এক পক্ষকে খুশি করতে সরকার বাঁশখালী বিদ্যুৎ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। কোনো ধরনের সমীক্ষা না করেই পরিবেশের ক্ষতি করে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বাঁশখালীতে বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হলে এ এলাকার পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হবে।
এ সময় আনু মুহাম্মদ বাঁশখালী হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবি জানান।
নিহতদের ‘শহীদ’ আখ্যা দিয়ে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সরকার থেকে নয়, যারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তাদেরই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। শুধু ক্ষতিপূরণ দিলেই হবে না, তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রকৃত খুনিদের যেন দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তথাকথিত তদন্ত কমিটি আমরা চাই না। স্বাধীন ও গ্রহণযোগ্য তদন্ত কমিটি করে ওই খুনিদের বিচার করতে হবে।’
অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বাঁশখালী হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রকৃত দোষীদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এ সময় সেখানে ছিলেন কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির জেলা সভাপতি শাহ আলমসহ অন্যরা।
বাঁশখালী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনকে কেন্দ্র করে গুলিতে চার গ্রামবাসী নিহতের পাঁচ দিন পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও মানববন্ধন করেছে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।
মন্তব্য চালু নেই