বলি-তারকাদের মেজাজ হারানোর ইতিকথা

দিনকয়েক আগে বার্সেলোনায় পারফর্ম করতে গিয়েছিলেন জাস্টিন বিবার। যে স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল, তার বাইরে তারকার আসার অপেক্ষায় ছিলেন জাস্টিনের একনিষ্ঠ এক ভক্ত। তারকার গাড়ি ঢুকতে দেখে গাড়ির উপর প্রায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন সেই গুণমুগ্ধ। উদ্দেশ্য, পছন্দের পপস্টারকে একবার ছুঁয়ে দেখা! ঘটনায় মেজাজ হারিয়েছিলেন জাস্টিন। গুণমুগ্ধের কপালে জুটেছিল সজোরে এক ঘুষি। তারকাদের প্রকাশ্যে মেজাজ হারানোর ঘটনা নতুন নয়। উদাহরণ এমন হাজারো রয়েছে।

অমিশা পটেল
নিজের গাড়ির ড্রাইভারকেই চড় মেরেছিলেন অমিশা। সাধের গাড়িতে চড়ে মুম্বইয়ের এক পাঁচতারা জিমে শরীরচর্চা করতে গিয়েছিলেন নায়িকা। গাড়ির চালকের আসনে ছিলেন অমিশার ব্যক্তিগত ড্রাইভার। জিমে যাওয়া অবধি সব ঠিকঠাক। জিম থেকে বেরিয়ে নায়িকা লক্ষ্য করেন, গাড়ির একটি দরজায় স্ক্র্যাচ পড়ে গিয়েছে। কীভাবে এটা হল— গাড়ির চালকের কাছে জানতে চেয়েছিলেন অমিশা। সদুত্তর দিতে পারেননি সেই ড্রাইভার। অগ্নিশর্মা হয়ে সকলের সামনেই ড্রাইভারের গালে চড় কষান অমিশা! তারপর ড্রাইভারকে ফেলে রেখে নিজেই গাড়ি চালিয়ে হোটেল ছাড়েন নায়িকা।

জেনেলিয়া ডি’সুজা
অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ার একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে গিয়েছিলেন জেনেলিয়া। ২০১০ সালের কথা। বেশ ভালই চলছিল অনুষ্ঠান। হঠাৎ হল বিপত্তি! রেগে গিয়ে জেনেলিয়া এক ব্যক্তির গালে সপাটে চড় কষালেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে অবাক। নায়িকা অভিযোগ করেছিলেন, পারফরম্যান্সের মাঝেই সেই ব্যক্তি নাকি মঞ্চে উঠে তাঁকে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। যাই হোক, পরিস্থিতি সামাল দিয়ে সেই ব্যক্তিকে অনুষ্ঠানের জায়গা থেকে বার করে দিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর মঞ্চে ফিরেছিলেন জেনেলিয়াও।

জন আব্রাহাম
বেশ কয়েক বছর আগের কথা। একটি বহুজাতিক প্রসাধনী সংস্থার নতুন শো-রুম উদ্বোধন উপলক্ষে মঙ্গলুরু গিয়েছিলেন জন। যে শপিং মল’এ শো-রুম উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল, সেখানে পৌঁছতেই হঠাৎ জনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন এক তরুণী। জনের সঙ্গে সেল্‌ফি তুলতে চেয়েছিলেন তিনি। ঘটনায় বেজায় চটেছিলেন জন! তরুণীকে ঠেলে দূরে তো সরিয়ে দিয়েছিলেনই, সপাটে চড় কষিয়ে ছিলেন তরুণীর গালে। পরে অবশ্য নিরাপত্তারক্ষীরা এসে পরিস্থিতি সামলে দিয়েছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে!

অক্ষয় কুমার
তখন ‘গব্বর’ ছবির শ্যুটিং চলছে। নিরাপত্তা এড়িয়ে অক্ষয়ের কাছে পৌঁছতে চেয়েছিলেন নায়কের এক গুণমুগ্ধ। প্রথমদিকে অক্ষয় ব্যাপারটাকে খুব একটা পাত্তা দেননি। কিন্তু একটি দৃশ্যের টেক নেওয়ার সময় সেই ব্যক্তি ফ্রেমে চলে আসায় মুহূর্তে মেজাজ হারিয়েছিলেন আক্কি। তারপর সপাটে চড়! অবস্থা বুঝে সেই গুণমুগ্ধ নীরবে সরে যাওয়াকেই শ্রেয় মনে করেছিলেন। যদিও পরে অক্ষয় দাবি করেছিলেন, যে পুরোটাই গুজব! ‘ভিত্তিহীন খবর’ লিখে টুইটও করেছিলেন তিনি। আদতে যে ঠিক কী ঘটেছিল, খোদায় মালুম!

সইফ আলি খান
মুম্বইয়ের এক পাঁচতারার রেস্তোরাঁয় নৈশভোজ সারতে গিয়ে বচসায় জড়িয়েছিলেন সইফ। পরিবারের সঙ্গে খোশমেজাজেই ছিলেন অভিনেতা। চলছিল দেদার হুল্লোড়। সইফদের ঠিক পাশের টেবিলেই পরিবারের সঙ্গে নৈশভোজ সারছিলেন এক ব্যক্তি। হুল্লোড়ে একপ্রকার বিরক্ত হয়েই, সইফদের একটু আস্তে কথা বলার জন্য অনুরোধ করেছিলেন সেই ব্যক্তি। উত্তরে সইফ বলেছিলেন, নীরবতা খুঁজতে হলে তাঁর কোনও লাইব্রেরিতে চলে যাওয়া উচিত। এর পরেই শুরু হয় কথা কাটাকাটি। মেজাজ হারিয়ে সইফ সজোরে ঘুষি মারেন সেই ব্যক্তির নাকে! এই ঘটনার জন্য সইফকে থানা-পুলিশের ঝক্কিও পোহাতে হয়েছিল।

প্রিয়ঙ্কা চোপড়া
‘প্যায়ার ইমপসিব্‌লে’র সেট’এ এক ভক্তকে চড় মেরেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। ২০০৯ সালের কথা। জোরকদমে ছবির শ্যুটিং চলছিল মুম্বই ফিল্মসিটিতে। প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে একবার দেখা করার জন্য নায়িকার মেকআপ ভ্যানের বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন এক গুণমুগ্ধ। প্রিয়ঙ্কা ভ্যান থেকে বাইরে এলে, নিরাপত্তারক্ষীরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রায় নায়িকার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই ব্যক্তি। চমকে উঠেছিলেন নায়িকাও। মুহূর্তে মেজাজ হারিয়ে সেই ব্যক্তির গালে চড় কষান প্রিয়ঙ্কা!



মন্তব্য চালু নেই