বলিউডের যেসব ছবি হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করেছে!

গত বছর আমির খান অভিনীত ‘দঙ্গল’ কামাল দেখিয়েছে। শুধু ভারতেই প্রায় ৩৮৫ কোটি টাকা ব্যবসা করেছে এই ছবি। কিন্তু এই ছবিকে বলিউডের সর্বোচ্চ আয়ের ছবি বলা চলে না। কেন? অর্থনৈতিক দিক থেকে দেখলে এর হিসাবটা একেবারে অন্য। খবর আনন্দবাজারের।

মুদ্রাস্ফীতির নিরিখে দেখলে আমিরের ‘দঙ্গল’ সব থেকে বেশি ব্যবসা করা বলিউড ছবির তালিকার কোথাও নেই। অতীতের এমন অনেক ছবি রয়েছে, যেগুলো খুব ভাল ব্যবসা করেছিল। হিসাব করলে দেখা যাবে সেই ছবি যা ব্যবসা করেছিল তা এখনকার বাজারের হিসেবে কয়েকশো গুণ বেশি।

আসলে ব্যাপারটা হল মুদ্রাস্ফীতি। কিছু ছবি রয়েছে যেগুলির আয়ের পরিমাণ মুদ্রাস্ফীতির নিরিখে জানলে চোখ কপালে উঠবে। বক্স অফিসে আয় হওয়া অর্থের পরিমাণে, ইন্টারনেট থেকে পাওয়া তথ্যের বিচারে, সব থেকে বেশি আয়ের প্রথম

দশ বলিউডি ছবির তালিকা এক নজরে দেখে নেওয়া যাক:- (ভারতীয় টাকায়)

১৯৭৫ সালের ছবি ‘শোলে’ মুদ্রাস্ফীতির নিরিখে আয় করেছে ১৬ লক্ষ ২ হাজার ৩২ কোটি টাকা। ঐতিহাসিক প্রেমকাহিনি নির্ভর ছবি ‘মুঘল-এ-আজম’-এর আয় ১৩ কোটি ২ হাজার ৭১০ কোটি টাকা (মুদ্রাস্ফীতির নিরিখে)।

এখনকার মুদ্রাস্ফীতির বিচারে ১৯৪৩ সালের ছবি ‘কিসমত’-এর আয়ের পরিমাণ ১০ লক্ষ ৮ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা। ১৯৯৪ সালের সালমানের ব্লকবাস্টার মুভি ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’। এই ছবিটি বেশ ভাল ব্যবসা করেছিল। সেই ছবির আয়ের পরিমাণ বর্তমান মুদ্রাস্ফীতির নিরিখে ৯৬ হাজার ২১ কোটি টাকা।

অমিতাব বচ্চন, রেখা, রাখি গুলজার অভিনীত ১৯৭৮ সালের মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘মুকাদ্দর কা সিকন্দর’। সেই ছবির আয়ের পরিমাণ মুদ্রাস্ফীতি অনুযায়ী ৯৪ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা। ১৯৪২ সালের হিন্দি ছবি ‘বসন্ত’। এই ছবিটির বর্তমান মুদ্রাস্ফীতির হিসেবে ৮৯ হাজার ৫৯৮ কোটি টাকা।

কেএল সায়গল, যমুনা, পাহাড়ি সান্যাল, সিতারা দেবী অভিনীত ‘জিন্দেগি’ ছবিটি ১৯৪০ সালে মুক্তি পেয়েছিল। এই ছবিটির আয়ের হিসেব করে দেখা গিয়েছে মুদ্রাস্ফীতি অনুযায়ী ৮৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা।

মুক্তির ২১ বছর পরেও এই ছবিটি নিয়ে উন্মাদনা এতটুকু কমেনি। একদম ঠিক শাহরুখ খান এবং কাজল অভিনীত ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে যায়েঙ্গে’-এর কথাই হচ্ছে। এই ছবিটি যা ব্যবসা করেছিল তা এখনকার মুদ্রাস্ফীতির নিরিখে দাঁড়ায় ৮১ হাজার ৬০৪ কোটি টাকা।

আরও একটি হিন্দি জনপ্রিয় ছবি হল ‘অমর আকবর অ্যান্টনি’। ১৯৭৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবি আয়ের হিসেব ৮০ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা (মুদ্রাস্ফীতি অনুযায়ী)।



মন্তব্য চালু নেই