বর্ষবরণে নারী লাঞ্চণার প্রতিবাদে নোয়াখালীতে কালো পতাকা মিছিল
পহেলা বৈশাখ নববর্ষ উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে নারীদেরকে শ্লীলতাহানি করার চেষ্টার প্রতিবাদে নোয়াখালীতে কালো পতাকা মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেল ৫টায় নোয়াখালী টাউন হল চত্বরে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নোয়াখালী শাখার উদ্যোগে এ কালো পতাকা মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মৌন প্রতিবাদে কালো পতাকা মিছিলটি জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে উদীচি শিল্পী গোষ্ঠী, নোয়াখালী আবৃত্তি একাডেমী, দিবা সঙ্গীত একাডেমী, স্বজন কালচারাল ক্লাব সহ সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
পরে এক প্রতিবাদী সমাবেশে সংগঠনের সভাপতি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বিমলেন্দু মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন কৈশোরের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (মাহবুব) যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট শ্যামল কান্তি দে, বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ ও বাংলাদেশ যুব ইউনয়নের কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড হাবীব ইমন, জাতীয় কবিতা পরিষদ নোয়াখালীর সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জম হোসেন আরমান, ছাত্রনেতা রহমত উল্লাহ ভূঁইয়া।
বক্তারা বলেন, রাষ্ট্র, সরকার, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করছি, নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যর্থতা ঢাকতে অস্বীকার বা দোষারোপের রাজনীতি শুরু করবেন না। যতোগুলো নিপীড়কের ছবি গণমাধ্যমে এসেছে ওদের খুঁজে বের করে শাস্তি দিন।
যারা সম্পৃক্ত ছিলেন এ অপরাধেÑতাদের দ্রুত গ্রেফতার চাই। একই সাথে চাই সত্যের প্রতিষ্ঠা। তা না হলে ‘সোনার বাংলা’ পরিণত হবে বাংলাস্তানে। তার দায় আপনাদের উপরেই বর্তাবে। এখন পর্যন্ত সরকার কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি, এটা উদ্বেগজনক। বরং ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে চাইছেন। কেনো? এ সংস্কৃতি তো বিশ্ববিদ্যালয় বা পুলিশের সুনাম ক্ষুণ করছে। নারীর ক্ষমতায়নে বিদেশে ভাবমূর্তি গড়লেও ঘরে-বাইরে নারীর নিরাপত্তা ও ভরসার জায়গা কমছেই। জানিনা কোন নারী বলতে পারবে কীনা জন্ম থেকে এ পর্যন্ত একবারও নিপীড়নের শিকার হয়নি। আজ সহ্য সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। যারা এমন ঘটনার জন্য মেয়েদের চলাফেরা-পোশাক-আচরণকে দায়ী করেন, তাদের কঠোর নিন্দা করতে হবে। রাষ্ট্র, সমাজ ও পরিবারকে এগিয়ে আসতে হবে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে।
মন্তব্য চালু নেই