সহিংসতার বিরুদ্ধে সংস্কৃতির প্রতিবাদ স্বরূপ নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে বরিশালে বাংলা নববর্ষ ১৪২২ বরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সোয়া সাতটায় ব্রজমোহন বিদ্যালয়ের তমাল তলায় প্রবীণ সংস্কৃতিজন নিখিল সেন প্রভাতী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

এরপর উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর শিল্পীরা এসো হে বৈশাখ এসো এসো সংগীতের মধ্যদিয়ে প্রভাতি অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। জাতীর সূর্য সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেন চারুকলা বিদ্যালয়ের দুটি সংগঠক। শিশুদের হাতে রাখি পড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ শহীদুল আলম ও প্রবীন সংস্কৃতিজন মুজতবা আলী। ঢাক উৎসবের উদ্বোধন করেন নগর পুলিশের কমিশনার শৈবাল কান্তি চৌধুরী। সকাল সাড়ে আটটায় ব্রজমোহন বিদ্যালয় থেকে চারুকলার নেতৃত্বে শত শত মানুষের অংশগ্রহণে মঙ্গল শোভা যাত্রা বের করা হয়। এতে বরিশাল ২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক তালুকদার মোঃ ইউনুস সহ রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিকসহ সর্বস্তরের জনতা অংশগ্রহণ করেন।

নতুন বর্ষকে বরণের জন্য অনেক আলো জ্বালাতে হবে মনের অন্ধকারে প্রত্যয় নিয়ে খেলাঘর সকাল সাতটা থেকে অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রান্তিক সংগীত বিদ্যালয়ে সকাল ১০ টায় প্রীতি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও জেলা প্রশাসন সার্কিট হাউসে সকাল আটটায় পান্তা ইলিশ এবং শিশু একাডেমীতে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতার আয়োজন করে। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র সকাল দশটায় ব্যাপ্টিস্ট মিশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজন করে পান্তা ইলিশ ও বর্ষবরণ উৎসব। টিআইবি দুর্নীতি বিরোধী কার্টুন প্রদর্শন করে।

বিএম স্কুল মাঠে বর্ষবরণ উপলক্ষে তিন দিনের মেলার আয়োজন করেছে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী। চাঁদের হাটের মেলা হচ্ছে আমানতগঞ্জ টিবি হাসপাতাল মাঠে এবং শিশুদের জন্য প্লানেট ওয়ার্ল্ড পার্কে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। চারুকলার দুই দিনের অনুষ্ঠানে সিটি কলেজ মাঠে থাকছে লোকজ অনুষ্ঠান জারি ও কবিগান।

একইভাবে শব্দাবলী বিকেল চারটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাঠী খেলার মধ্যদিয়ে বাংলা বর্ষবরণের তিন দিনের উৎসব পালন করেছে। পুরো অনুষ্ঠান নির্বিঘেœ সম্পন্নের জন্য নগর জুড়ে র‌্যাব পুলিশের বাড়তি নিরাপত্তা ছিল চোখে পরার মত।