বরগুনার তালতলী উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনা স্থগিত

বরগুনা প্রতিনিধিঃ
বরগুনার তালতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৯ মে বিভিন্ন কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনকারী প্রিজাইডিং পোলিং অফিসারররা ক্ষমতাসীন দলের একটি স্থনীয় প্রভাবশালী অংশের হামলা মামলার হুমকিতে আতংকিত। ১৯ মে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মনিরুজ্জামান মিন্টু ইউনিয়ন চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজীর নেতৃত্বে ২০/৩০ জন অন্নত ২০ টি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে আনারস ও কলস প্রতীকে সীল দিয়ে বাক্স ভর্তি করা হয়। নির্বাচন কমিশন ২০ টি কেন্দ্রের অনিয়ম ও ভোট জালিয়াতির অভিযোগে ফলাফল ঘোষনা স্থগিত রেখেছে বলে জানা গেছে। নির্বাচন চলাকালীন রিটানিং অফিসারকে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা অনিয়ম, কেন্দ্র দখল ও ভোট জালিয়াতির বিষয় অবগত করলেও তিনি কার্যকর ব্যবস্থা নেননি।

হেলঞ্চা বাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গ্রহনের পূর্বে শতাধিক ব্যালটে আনারস. কলস ও উড়োজাহাজ প্রতীকে সীল দিয়ে বাক্স ভর্তি করা হলেও অপরাধেিদর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এছাড়াও জাকিরতবক দাখিল মাদ্রাসা, আলীর বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, তালতলী সালেহিয়া সিঃ মাদ্রসা কেন্দ্র, পচাকোড়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, চরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র সহ ২০ টি কেন্দ্রে অবৈধ ভাবে ব্যালট নিয়ে বাক্স ভর্তি করা হয়।

২৫ মে গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার সাইদুল ইসলাম ফৌজধারী অপরাধের ১৫৪ এবং নির্বাচন আচরন বিধি মালার ২০১৩র ৭০(১) (খ) ধারায় বাদী হয়ে তালতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মনিরুজ্জামান মিন্টু সহ অজ্ঞাত পরিচয় ১০/১২ জনকে এই মামলায় আসামী করা হয়েছে। ঐ কেন্দ্রের সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার সহ ৬ জনকে মামলায় স্বাক্ষী করা হয়েছে।

মামলা করার পর বাদী সহ স্বাক্ষীরা আওয়ামীলীগের একটি অংশের কর্মীদের হুমকিতে রয়েছে। একই সাথে অন্যন্য কেন্দ্রের প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারও যাতে কোন বাড়াবাড়ি না করে তার জন্য হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

একই অভিযোগে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আলম কবির জাকির তবক দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ফলাফল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবী জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশন বরাবরে আবেদন করেছেন



মন্তব্য চালু নেই