বন বিভাগের কর্মকর্তার সহযোগিতায় সীমান্ত এলাকায় গড়ে উঠেছে অবৈধ করাতকল

তোহা আলম প্রিন্স, পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে জেলা বন ও পরিবেশ কর্মকর্তার সহযোগিতায় উপজেলার সীমান্ত ঘেষা ধরঞ্জী ও কড়িয়া ইউনিয়নে ব্যাঙ্গের ছাতার ন্যায় করাত কল স্থাপন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে ফরেস্ট এ্যাক্ট অনুসারে ১৯২৭( ঢঠওঙঋ ১৯২৭) এ বিধি নিষেধ (১)এ সুস্পষ্ট ভাবে বলা আছে পৌরসভা ব্যাতিত আন্তর্জাতিক স্থল সীমানার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোন করাত কল স্থাপন করা যাবে না।

যদিও কেহ এই নির্দেশ বা আইন অমান্য করে করাত কল স্থাপন করেন তার জন্য শাস্তির বিধানও রয়েছে। অথচ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বন ও পরিবেশ বিভাগের উর্দ্ধোতন কর্মকর্তার সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক স্থল সীমানার ১/২ কিলোমিটারের মধ্যেই অসংখ্য করাত কল স্থাপন করায় এসব দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে সর্ব মহলে।

এলাকাবাসী আরোও জানায় উপজেলার সীমান্তঘেষা এলাকা বলে পরিচিত আয়মা রসুলপুর ইউনিয়নের কড়িয়া ও ধরঞ্জি ইউনিয়নের খাঙ্গইড় হাটখোলায় বসত বাড়ি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নিকটবর্তী এলাকায় ডাক্তার এমামুল ইসলাম কড়াত কল স্থাপন করে নির্বিঘেœ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

আরো অভিযোগ পাওয়া গেছে, সীমান্ত ঘেষা এসব করাত কলের মালিকদের নেই কোন লাইসেন্স ও বন পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। এসব কড়াত কলের মালিকরা বন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চলাচ্ছে কলগুলো।

অপর একটি সূত্র আরোও জানায় সীমান্ত এলাকায় করাতকল গুলো স্থাপন হওয়ায় চোরেরা বিভিন্ন রাস্তার ধারের সরকারী গাছ রাতের আধারে কর্তন করে নিয়ে গিয়ে কল গুলোতে রেখে ফাঁড়াই করে ওই সব কাঠ রাতের মধ্যেই পাচার করছে ভারত সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।

এ বিষয়ে গত ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে জেলা বন বিভাগের কর্মকর্তার সাথে ফোনে কথা বললে তিনি বলেন লাইসেন্স বিহিন কড়াত কলগুলির মালিকদের বিরুদ্ধে খুব তাড়াতাড়ি অভিযান শুরু হবে, কিন্তু ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও আজ শনিবার পুনরায় সীমান্ত এলাকার কলগুলি কিভাবে স্থাপন করা হয়েছে আবার জানতে চাইলে তিনি বলেন সীমান্ত এলাকায় কোন কড়াত কল স্থাপন করার নিয়ম নেই, এইসব কড়াত কল মালিকের বিরুদ্ধে অচিরেয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



মন্তব্য চালু নেই