বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হলেও বিধ্বস্ত জনপদে পরিণত ঝিনাইগাতী

বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হলেও বিধ্বস্ত জনপদে পরিণত শেরপুরের ঝিনাইগাতী। ঝিনাইগাতী উপজেলার গত কয়েক দিন যাবৎ বৃষ্টি না থাকায় এবং উজান থেকে পাহাড়ী ঢল বন্ধ থাকায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। বন্যা পরিস্থিতি’ কিছুটা উন্নতি হলেও ভাটি এলাকাগুলোর অবনতি হয়েছে। নদীগুলোর পানি কমতে শুরু করলেও নিন্মাঞ্চল গুলোতে পানিবন্দী এলাকার সংখ্যা বাড়ছে।

গত ২২ আগস্ট শনিবার উজান থেকে নেমে আসা আকস্মিক পাহাড়ী ঢলের পানির তোড়ে রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ-কালভার্ট, ভেঙ্গে এ উপজেলা বিধ্বস্ত জনপদে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় অভ্যান্তরীন যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবু বকর সিদ্দিক জানান, বন্যার পানি প্রবেশ করায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো পাঠদানের উপযোগী হয়ে উঠেনি।

L=1উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুতপা ভট্টাচার্জ জানান, ঢলের পানির তোড়ে সহস্রাধীক পুকুর তলিয়ে কোটি টাকা মূল্যের মাছ ভেসে যাওয়ায় মৎস্যচাষীরা এখন চরম বিপাকে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান জানান, ঢলের পানির তোড়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় ৫শ’ ঘর-বাড়ী বিধ্বস্ত, ১৭টি গবাদিপশুর মৃত্যু, ৩৪টি কাঠের ব্রীজ, ১টি পাকাব্রীজ ও ২শতাধিক কালভার্ট বিধ্বস্ত হয়েছে।
নলকুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান জানান, ঢলের পানির তোড়ে দেয়াল চাপা পড়ে তার ইউনিয়নে একই পরিবারের ৪জনসহ মোট ৫জন আহত হয়েছে।

Bisudha Khabar Pani Songroheউপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ কোরবান আলী জানান, প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমির আমনধান ক্ষেত বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম জানান, কাংশা, নলকুড়া, ও ধানশাইল ইউনিয়নে এলজিইডি’র কাচা ও পাকারাস্তা ভেঙ্গে উপজেলার অভ্যান্তরীন সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে বিধ্বস্ত জনপথে পরিণত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে নিন্মাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ। নদীগুলোতে পানি কমতে শুরু করলেও ভাটি এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি’র অবনতি হয়েছে। বন্যা কবলিত L=2এলাকাগুলোতে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও খাদ্যের সংকটসহ গো-খাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, বন্যা কবলিত বিভিন্ন গ্রামের লোকজনের বাড়িতে চুলা জ্বলছে না। শুকনা খাবার খেতে হচ্ছে তাদের। তাদের পারাপার হতে হচ্ছে কলার ভেলা ও নৌকাযোগে। স্থানীয় সংসদ সদস্য একেএম ফজলুল হকের উদ্যোগে যে পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী দেয়া হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এছাড়া পানিবন্দী এলাকার মানুষের পাশে দাড়ায়নি কেউ।

উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা বন্যাকবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন এবং ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।



মন্তব্য চালু নেই