বদলে যাচ্ছে গান প্রকাশের মাধ্যম

একটা সময় ছিল যখন গানের অ্যালবাম প্রকাশ করা মানেই ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। সারাদেশে বিভিন্ন সংগীতশিল্পীর ভক্তরা অপেক্ষা করত কখন তাদের প্রিয় শিল্পীর গানের অ্যালবাম প্রকাশিত হবে। সিডি ক্যাসেটের দোকানে গিয়ে মানুষ দাঁড়িয়ে থাকতো পছন্দের শিল্পীর গানের অ্যালবাম কেনার জন্য। সময়ের বিবর্তনে সেই দিনগুলো আজ যেন জাদুঘরে চলে গিয়েছে।

অ্যালবাম প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে তা চলে যাচ্ছে অনলাইনে বিভিন্ন অবৈধ সাইটে। ঘরে বসেই মানুষ ফ্রি পেয়ে যাচ্ছে গানগুলো। ফলাফল, মানুষ গান শুনছে ঠিকই কিন্তু নিজের প্রাপ্য সম্মানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিল্পীরা।

তবে সমস্যা থাকলে তার সমাধানও থাকে। যে অনলাইন এতদিন শিল্পীদের জন্য আতঙ্কের নাম ছিল আজ সেই অনলাইনই শিল্পীদের স্বার্থ সংরক্ষণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন সংগীতবোদ্ধারা। সময়ের বিবর্তনে আজ পরিবর্তন এসেছে গান প্রকাশের ফরম্যাটে। সিনিয়র শিল্পী থেকে শুরু করে নতুন অনেক শিল্পী এখন গান প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিচ্ছে অনলাইনকে। এতেই আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভবনা বেশি বলে মনে করছেন তারা।
ppqdbnp9
কিন্তু অনলাইনে গান প্রকাশ করে কিভাবে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া সম্ভব? অনলাইনে গান প্রকাশ করে এর থেকে আয় করার অনেক মাধ্যম আছে এখন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ইউটিউব, আইটিউন ইত্যাদি। তাহলে এগুলো থেকে অর্জিত অর্থ কিভাবে শিল্পীদের কাছে পৌঁছাবে? এক্ষেত্রে মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে কাইনেটিক মিউজিক এবং জিরোনা এন্টারটাইনমেন্ট নামের দুটি প্রতিষ্ঠান।

এখন গান থেকে আয়ের উৎস শুধুমাত্র সিডিতে সীমাবদ্ধ নেই। সিডির পাশাপাশি আয়ের অন্যতম বড় উৎস হল ওয়েলকাম টিউন সহ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যম। সংগীতবোদ্ধারা মনে করেন যেভাবে ফিতার ক্যাসেটের প্রচলন এখন আর নেই ঠিক তেমনি অডিও সিডির প্রচলনও একটা সময় থাকবে না। তাই শিল্পীরা এখন আগ্রহী হচ্ছেন অনলাইনে সিঙ্গেল ট্রাক রিলিজে। অনেকে আবার পুরো একটি অ্যালবামই প্রকাশ করছেন অনলাইনের মাধ্যমে। আবার এমনও হচ্ছে যে অনেক শিল্পী একটি গান করে তার মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করে অনলাইনে প্রকাশ করছেন। একইসঙ্গে ওয়েলকামটিউন ডিস্ট্রিবিউশন এজেন্সির মাধ্যমে নিয়ে নিচ্ছেন ওয়েলকাম টিউনের কোড।
1v1msr1y
শিল্পী তখনই ভালো কাজ করার আগ্রহ পান যখন সেই কাজটি তাকে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা দেয়। অডিওঅঙ্গন এখন যে সময় পার করছে তাতে শিল্পীদের নিশ্চিন্তে কাজ করার পরিবেশ নেই। তবে এই দু:সময় শেষের পথে বলে মনে করছেন অনেকে। তাদের বিশ্বাস মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি তথা শিল্পীরা আবারও ফিরে পেতে যাচ্ছেন হারনো সেই স্বর্ণযুগ। এমনটি যদি হয়েই থাকে তবে তা বাংলাদেশের সংস্কৃতিকেই এগিয়ে দেবে। কারণ শিল্পী বাঁচলেই সংস্কৃতি বাঁচবে।



মন্তব্য চালু নেই