বঙ্গোপসাগরের তলায় রোবটের সন্ধান! কী ঘটতে চলেছে জেনে নিন…
রোবট দিয়ে কতকিছুর কথাই জানা যায়। কিন্তু, তা বলে বর্ষার পূর্বাভাস জানতে রোবট! এমনই অভিনব ব্যবস্থা আর কয়েক দিনের মধ্যে কাজ শুরু করবে বঙ্গোপাসাগরের বুকে।
বর্ষার আগমনে ফি বছরই সমস্যায় পড়তে হয় মৌসম ভবনকে। সাধারণত ৮ জুনই বর্ষার প্রবেশের কথা থাকলেও তা সবসময়ই অনেকটা পিছিয়ে যায়। এমনকী, বর্ষার চরিত্র নিয়ে বহু খুটিনাটি তথ্যের দরকার থাকলেও মৌসম ভবনের প্রযুক্তিতে তা পাওয়া কঠিন হয়ে যায়।
তাই প্রতিনিয়ত বদলে যাওয়া আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতিকে নজর করা এবং বর্ষার সম্পর্কে বহু খুঁটিনাটি তথ্য জানতে দরকার হয়ে পড়ে আরও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির।
তাই বর্ষার গতিপ্রকৃতিকে ধরতে এবং তার সম্পর্কে আরও খুটিনাটি তথ্য বের করতে বঙ্গোপসাগরের তলায় রোবট প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিনিস্ট্রি অফ আর্থ সায়েন্স। এই মন্ত্রকের সচিব এম রাজিভন জানিয়েছেন, ‘দ্য বে অফ বেঙ্গল বাউন্ডারি লেয়ার এক্সপেরিমেন্ট’ নামে এই অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে ইউ কে ভার্সিটিজ, ইউনিভার্সিটি অফ ইস্ট অ্যাঙ্গলিয়া এবং ইউনিভার্সিটি অফ রিডিং। এদের সঙ্গে গাটছাড়া বেঁধেছে, ন্যাশনাল ওসিওনোগ্রাফি সেন্টার অফ সাউদাম্পটন এবং ভারতের সেন্টার ফর অ্যাটমোস্পেরিক, ওসানিক সায়ান্সেস, দ্য ইন্ডিয়ান ন্যশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট ইনফরমেশন সার্ভিসেস, দ্য ন্যাশনাল সেন্টার ফর মিডিয়াম রেঞ্জ ওয়েদার ফরকাস্টিং এবং দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওসান টেকনোলজি।
জানা গিয়েছে, আজ বঙ্গোপসাগরের জলের তলায় মোট সাতটি রোবট-গ্লাইডারকে প্রতিস্থাপন করা হবে। বঙ্গোপসাগরের জলের লবণাক্তের মাত্রা মাপা থেকে, জলের তলার তাপমাত্রা, স্রোতের বেগ সম্পর্কে তথ্য পাঠাবে এই সব রোবট। পাশাপাশি আকাশ এবং মেঘ নিয়েও তথ্যে দেবে।
এর ফলে বর্ষার গতিপ্রকৃতি যেমন বোঝা যাবে, তেমনি ধারনা মিলবে বর্ষার পরিমাণ সম্পর্কে। বর্ষার অকাল বিদায় ঘটবে না নির্দিষ্ট সময়ের পরই তা বিদায় নেবে তা নিয়েও তথ্য পাওয়া যাবে। এতে চাষ-বাসের ক্ষেত্রে প্রচুর সাহায্য মিলবে।এবেলা
মন্তব্য চালু নেই