বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপের পর্দা উঠছে শুক্রবার
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়ে শুক্রবার পর্দা উঠছে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের। চতুর্থ এ আসর শুরু হচ্ছে বিকেল পৌনে তিনটায় যশোরের শামস-উল-হুদা স্টেডিয়ামে।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ (১৭৯) লঙ্কানদের (১৮৮) থেকে এগিয়ে থাকলেও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স তলানিতে। দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ খ্যাত সাফ ফুটবলে বাংলাদেশ গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয়। আফগানিস্তানের কাছে ৪-০ ব্যবধানে হারের পর মালদ্বীপের কাছে ৩-১ ব্যবধানে পরাজিত হয় মামুনুলরা।
দলের এ অবস্থায় কোচ মারুফুল হক ও অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। শেষ ম্যাচে ভূটানের বিপক্ষে অধিনায়কত্ব করার পর আর্মব্যান্ড খুলে রাখার ঘোষণাও দেন মামুনুল। কিন্তু দেশে ফিরে বাফুফে তাদের ওপর আস্থা রাখায় নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন মামুনুল ও মারুফুল।
সাফের দু:স্মৃতি ভুলে বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপে ভালো করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বাংলাদেশ দলের সিনিয়ার ফুটবলার জাহিদ হোসেন এমিলি জানালেন- দলের প্রস্তুতি সাফ ফুটবলের থেকেও ভালো। একটি জয় পেলে গোটা দল আবারো চালকের আসনে চলে আসবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি।
জাতীয় দলের এ স্ট্রাইকার বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি আগের থেকে অনেক ভালো। আমরা একটি জয়ের প্রত্যাশা করছি। একটি জয় পেলে আমরা সঠিক পথে চলে আসবো। তখন আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে এবং যেটা করবো ওটাই ঠিক হবে।’
এমিলির পাশে বসা কোচ মারুফুল হকও তার সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন, ‘খেলোয়াড়দের মধ্যে ভাল কিছু করার প্রেরণা রয়েছে। উদ্বোধনী ম্যাচে জয় ছাড়া টুর্নামেন্টে দলের অন্য কোনো ফল নিয়ে ভাবছি না।’
বাংলাদেশ দলের ফরোয়ার্ড জাহিদ হাসান এমিলি বলেন, দলের সবাই প্রথম ম্যাচ জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। প্রথম ম্যাচ জিতলেই সাফের ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠে খেলোয়াড়দের মধ্যে নতুন প্রাণের সঞ্চার হবে।
প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা দলের অধিনায়ক কাবিন্দু ইশান বলেন, ‘তারা (বাংলাদেশ) ভাল খেলার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। তাদের নিজস্ব মাঠে তারা খেলছে। তবুও আমরা জয়ের জন্যেই মাঠে নামবো।’
৮-২০ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে আট দলের ফুটবল যুদ্ধ। বাংলাদেশ খেলবে গ্রুপ ‘এ’তে। এ গ্রুপের অন্যান্য প্রতিপক্ষ- মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, নেপাল।
গত আসরের ফাইনালে বাংলাদেশকে কাঁদিয়ে শিরোপা জয় করেছিল মালয়েশিয়া। এবার গ্রুপ পর্বের শুরুতেই দুই দলের লড়াই আলাদা রোমাঞ্চ ছড়াচ্ছে। গ্রুপ ‘বি’তে খেলবে কম্বোডিয়া, বাহরাইন, মালদ্বীপ ও বাংলাদেশ অলিম্পিক ফুটবল দল।
১১ জানুয়ারি পর্যন্ত যশোরে চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ১২ জানুয়ারি থেকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে হবে পরবর্তী ম্যাচগুলো। ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন দুটি করে ম্যাচ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি দুটি সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। ফাইনাল ম্যাচ হবে ২০ জানুয়ারি।
চ্যানেল নাইন সবগুলো ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করবে।
২৩ সদস্যের বাংলাদেশ দল :
১. মো. শহিদুল আলম গোলরক্ষক
২. জামাল ভূঁইয়া মিডফিল্ডার
৩. মো. ইয়াসিন খান ডিফেন্ডার
৪. ইয়ামিন আহমেদ চৌধুরী মুন্না ডিফেন্ডার
৫. মো. মামুনুল ইসলাম মামুন মিডফিল্ডার
৬. মো. রায়হান হাসান ডিফেন্ডার
৭. মো. মোনায়েম খান রাজু মিডফিল্ডার
৮. মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী ডিফেন্ডার
৯. সোহেল রানা মিডফিল্ডার
১০. মো. শাখাওয়াত হোসেন রনি ফরোয়ার্ড
১১. আলমগীর কবির রানা মিডফিল্ডার
১২. মো. রাসেল মাহমুদ গোলরক্ষক
১৩. মো. জাহিদ হোসেন মিডফিল্ডার
১৪. জাহিদ হাসান এমেলি ফরোয়ার্ড
১৫. হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস মিডফিল্ডার
১৬. তপু বর্মন ডিফেন্ডার
১৭. আতিকুর রহমান মিশু ডিফেন্ডার
১৮. মো. ওয়ালি ফয়সাল ডিফেন্ডার
১৯. মিথুন চৌধুরী ফরোয়ার্ড
২০. আশরাফুল আলম রানা গোলরক্ষক
২১. মো. জুয়েল রানা মিডফিল্ডার
২২. নাসিরুল ইসলাম নাসির ডিফেন্ডার
২৩. নাবিব নেওয়াজ জীবন মিডফিল্ডার
মন্তব্য চালু নেই