বগুড়ার শিরিন হত্যাকাণ্ডে তালাকপ্রাপ্ত স্বামীর ফাঁসি ও অপর ৩ জনের যাবজ্জীবন

সরকার দুলাল মাহবুব, রাজশাহী থেকে : বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার শিরিন আক্তার হত্যা মামলায় তালাকপ্রাপ্ত স্বামীর ফাঁসি ও অপর তিন জনকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়েছে।

রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক গোলাম আহমেদ খলিলুর রহমান বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় এক রায় দেন। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মামলা নং ০২/২০১৬।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী হলো, হত্যার শিকার শিরিন আক্তারের তালাকপ্রাপ্ত স্বামী বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার তলশান গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে সোহেল ইবনে করিম। সেই সঙ্গে আদালত সোহেল ইবনে সেলিমকে আরো ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।

এছাড়া যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্তরা হলো, বগুড়া জেলা সদরের ফুলবাড়ি সরকার পাড়া এলাকার মনিরুজ্জামান সরকারের ছেলে শাকিল হোসেন (২৮), আদমদীঘি উপজেলার কুসুমবি এলাকার সন্তোষ চন্দ্র ঘোষের ছেলে সেনগুপ্ত ঘোষ(৩৫), দুপচাঁচিয়া থানার বাটাহার কনকার্জ গ্রামের খয়রব আলী ফকিরের ছেলে আহাদ আলী ওরফে আহাদ ফকির (৪০)। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের সবাইকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো একবছরের কারাদ- দেয়া হয়।

রায় ঘোষণার সময় আসামী শাকিল হোসেন ও সোনগুপ্ত ঘোষ আদালতে উপস্থিত ছিলো।

মামলার বিবরনীতে জানা যায় যে, ২০১২ সালের ১৩ ডিসেম্বর বগুড়া উপজেলার দুপচাঁচিয়া থানার ডুমুরিগ্রাম এলাকার মুরইলে শিরিনের মায়ের বাড়িতে তালকপ্রাপ্ত স্বামী ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আব্দুল করিমসহ আসামীরা শিরিন আক্তারের উপরে হামলা চালায়। এ ঘটনায় শিরিন আক্তার গুরুতর আহত হয়।

পরে পরিবারের লোকজন উপস্থিত হয়ে শিরিন আক্তারকে ঢাকার এ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা অপারকতা প্রকাশ করলে পরিবারের লোকজন শিরিন আক্তারকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৩ সালের ২৬ আগস্ট শিরিন আক্তার মারা যান।



মন্তব্য চালু নেই